Advertisement
Advertisement

পুজোয় রেকর্ড বিক্রি, ভাইফোঁটায় নয়া আয়োজন মৎস্য দফতরের

এবার ভাইফোঁটায় আর্থিকভাবে দুর্বল ছেলেমেয়েদের পেটপুরে মাছ-ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে মৎস্য উন্নয়ন নিগম৷

Kolkata Celebrates Its Love for Fish
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 14, 2016 12:43 pm
  • Updated:October 14, 2016 12:43 pm

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: “শুনুন মশাই৷ কাল নবমী৷ আত্মীয়-বন্ধুদের নেমন্তন্ন করেছি৷ সত্তর পিস তেল কই চাই৷ এই নিন অ্যাডভান্স৷” তারকেশ্বর থেকে আসা ক্রেতার অ্যাডভান্স বিল তৈরি করতে না করতে, আর একজন বললেন, “কাগজে লিখেছে ডাব চিংড়ি পাওয়া যাবে৷ কোথায় সেসব?” রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের স্টলের কর্মীদের তখন করুণ অবস্থা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্হলে হাজির হন মৎস্য উন্নয়ন নিগমের অধিকর্তা সৌম্যজিত্‍ দাস৷ প্রতিশ্রুতি মিলতে তবে নিস্তার৷

একইরকম অবস্থা নবান্নের সামনের স্টলটিতে৷ বাড়িতে রান্না বন্ধ করে দলবেঁধে পুজোর চারদিন মৎস্য উন্নয়ন নিগমের স্টলে খেতে এসেছেন মধ্যবিত্ত বাঙালি৷ লাঞ্চ সেরে ফেরার পথে টিফিন কেরিয়ারে করে রাতের জন্য সরষে ইলিশ বা পার্শে মাছের কোনও পদ নিয়েছেন৷ মৎস্য দফতরের সাতটি স্টলে পুজোর চারদিনে বিক্রি হয়েছে ৮ লাখ টাকার বেশি৷ এমন ঘটনাকে রেকর্ড বলেই মনে করছেন নিগমের আধিকারিকরা৷ ভাইফোঁটায় তাই ভাইবোনেদের পেটপুরে খাওয়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে৷

Advertisement

বেসরকারি সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গত বছর থেকে উত্তর কলকাতার বাগবাজার থেকে দক্ষিণের হাজরা পর্যন্ত সাতটি স্টল দিয়েছিল মৎস্য নিগম৷ সৌম্যজিৎবাবু বলেছেন,“গলদা, বাগদা, পার্শে, কই, ইলিশ ছাড়াও অন্তত ৭০টি বিভিন্ন মাছের প্রায় ১৪২টি রেসিপি বিক্রি হয়েছে৷ এর মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের স্টলেই বিক্রি হয়েছে প্রায় চার লাখ টাকা৷ উত্তরের চিৎপুর, বরানগর, ডানলপ এমনকী হুগলি থেকে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন সরকারি স্টলে৷ মন মজিয়ে তৃপ্তি করে পেটপুজো সেরেছেন তাঁরা৷

Advertisement

তবে টেক্কা দিয়েছে নবান্ন৷ সৌম্যজিৎবাবুর কথায়, “সরকারি কর্মীদের ছুটি৷ কিন্তু হাওড়ার বাসিন্দারা পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি দুপুর থেকে যেভাবে নিগমের স্টলে ভিড় জমিয়েছেন তাতে রীতিমতো উৎসাহিত আধিকারিকরা৷ নিউটাউনের মতো নবান্নেও বসে খাওয়ার স্হায়ী স্টল তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে নিগম৷” পুজোর রেকর্ড বিক্রি বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে মৎস্য উন্নয়ন নিগমের কর্তাদের৷ সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ভাইফোঁটাতে বাড়তি আয়োজন৷

পুজোর চারদিন বাম্পার বিক্রি৷ এই অবস্থায় কালীপুজো, ভাইফোঁটাতেও মাছের বিভিন্ন পদ বিক্রির জন্য স্টল খুলবে নিগম৷ আরও নতুন নতুন মাছের রেসিপি বিক্রি হবে৷ শুধু তাই নয়, ভাইফোঁটাকে কেন্দ্র করে নতুন পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন সৌম্যজিত্বাবু৷ তিনি বলেন,“সল্টলেকের দত্তাবাদে নিগমের উদ্যোগে এবারই ভাইফোঁটার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে আর্থিকভাবে দুর্বল ছেলেমেয়েদের জন্য৷ সেদিন দুপুরে তাঁদের পেটপুরে মাছ-ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে৷” নিগমের এক আধিকারিক বলেন, মৎস্য উন্নয়ন নিগম থাকতে ওরা কেন শুকনো মুখে ঘুরবে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ