সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাধ্যমিকে তিনটি পরীক্ষা দিয়েছিল বীরভূমের অরিজিৎ দাস। কিন্তু চতুর্থ পরীক্ষায় আর বসা হল না। পরীক্ষা চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। কিন্তু বর্ধমান থেকে কলকাতায় হাসপাতালে আনার পথে অ্যাম্বুল্যান্সেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় কিশোরের। পরিবারের অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্সে ডাক্তারের বদলে ছিলেন একজন এসি মেকানিক। তাঁর ভুলেই মৃত্যু হয় কিশোরের।
[ খেতে না দিয়ে মারধর করে ছেলে, স্বেচ্ছামৃত্যু চান মা ]
জানা যাচ্ছে, বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা ওই কিশোর। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল সে। তিনটি পরীক্ষা দেওয়া হয়েও যায়। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীনই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোর। প্রথমে নলহাটিতেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাকে ভরতি করা হয়। জ্বরের সঙ্গে কোমরের যন্ত্রণায় ভুগছিল ওই কিশোর। সুরাহা না হওয়ায় রামপুরহাটের একটি নার্সিংহোমে তাকে ভরতি করা হয়। পরে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে আনা হয়। কিন্তু সেখানেও কোনও চিকিৎসা না মেলায় তাকে কলকাতায় আনার সিদ্ধান্ত নেন অভিভাবকরা। তারপরই শহরে আনার তোড়জোড় শুরু করা হয়। ভাড়া করা হয় আইসিসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স। বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমের পক্ষ থেকেই অ্যাম্বুল্যান্সটি ঠিক করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু তাতে দু’জনের বেশি পরিবারের সদস্যদের উঠতে দেওয়া হয়নি। আইসিসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স অজুহাতে এই সিদ্ধান্ত নেয় চালক ও চিকিৎসক। কিন্তু পরে জানা যায়, চিকিৎসক বেশে যিনি ছিলেন তিনি আসলে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত কেউই নন। অক্সিজেন কমানো বাড়ানোর কাজ করছিলেন চালক। আর সঙ্গে যিনি ছিলেন তিনি এসি মেকানিক। অনেক পরে তাঁর পরিচয় জানতে পারেন সদস্যরা। এই দু’জনের ভুলেই কিশোরের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।
[ মাছ চাষেই ১৫০ বিঘা জমিতে সোনা ফলাচ্ছেন আরতি, সেরার স্বীকৃতি কেন্দ্রের ]
পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চালক ও ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে এরকম গাফিলতিতে আর কারও প্রাণহানি না হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.