Advertisement
Advertisement

Breaking News

অনড় মানস বিতর্কের দায় ঠেললেন মান্নানের ঘাড়ে

আজ, মঙ্গলবার মানসের ডাকে পিএ কমিটির প্রথম বৈঠক৷ তবে বৈঠক হলেও, চেয়ারম্যানের ডাকে সম্ভবত আসছেন না তাঁরই দলের একজন সদস্যও৷

 Manas blames Mannan for the political complication
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 12, 2016 10:47 am
  • Updated:July 12, 2016 10:47 am

স্টাফ রিপোর্টার: নিজের অবস্থানে অনড় থেকে পিএ কমিটি নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের দায় আবারও দলনেতা আবদুল মান্নানের ঘাড়ে ঠেললেন মানস ভুঁইয়া৷ আজ, মঙ্গলবার মানসের ডাকে পিএ কমিটির প্রথম বৈঠক৷ তবে বৈঠক হলেও, চেয়ারম্যানের ডাকে সম্ভবত আসছেন না তাঁরই দলের একজন সদস্যও৷ অর্থাৎ, যে ইস্যুতে বিতর্কের শুরু, সেই ইস্যুতে মানসের সঙ্গে পাল্টা অসহযোগিতার পরিবেশই বজায় রাখছে তাঁর পরিষদীয় দল৷ সূত্রে খবর, পিএ কমিটিতে কংগ্রেসের তিন সদস্যের প্রত্যেককেই যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে৷ আসতে পারছে না বাম পরিষদীয় দলও৷ এর মধ্যেই খবর, মানসকে অবিলম্বে সাত দিনের মধ্যে এই পদ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে এআইসিসি৷ অন্যথায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে বলে সূত্রে খবর৷ রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, কংগ্রেস পরিষদীয় দল মানসের সঙ্গে সংঘাত বজায় রাখার সাহস দেখাতে পারছে এআইসিসির এই বার্তা মেলার পরই৷
রবিবার পর্যন্ত যে কমিটিতে থাকা নিয়ে দফায় দফায় দলের মধ্যে বিশেষ করে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরির সঙ্গে চাপান-উতোর চলেছে, সোমবারও সেই কমিটি থেকে পদত্যাগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে মানস ভুঁইয়াকে৷ কিন্তু এদিন পর্যন্ত কোনও চিঠি তিনি পাননি বলে জানিয়েছেন৷ বলেছেন, “অযাচিতভাবে যে বিতর্কের শুরু করেছেন প্রদেশ নেতারা, তার ব্যাখ্যা তাঁরাই দিতে পারবেন৷ কিন্তু আমায় দিয়ে সই করিয়েও অন্যায়ভাবে আমায় অপমান করে পদ কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল৷ অধীর-মান্নানই তার জবাব দেবেন৷”
এর মাঝেই বিধানসভায় আচমকা গুঞ্জন শুরু হয় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে মানসের স্বল্প সময়ের বৈঠককে ঘিরে৷ আচমকাই দু’জনের সাক্ষাৎ৷ কিছু সময়ের কথপোকথন৷ যা নিয়ে পরে দু’জনই জানিয়েছেন, যে অশান্তি চলছে, তার প্রভাব নিজেদের সম্পর্কের মধ্যে যাতে না পড়ে, তা নিয়েই দু’জন দু’জনকে বন্ধুর মতো সতর্ক করেছেন৷ একইসঙ্গে আজকের বৈঠকে না থাকা নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুজন৷ তিনি ছাড়া অশোক ভট্টাচার্য ও আরএসপির বিশ্বনাথ চৌধুরি এই কমিটির বাম-সদস্য৷ সুজন জানিয়েছেন, তিনি ও অশোকবাবু রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক থাকায় পিএ কমিটির বৈঠকে থাকতে পারছেন না৷ তাঁরা থাকছেন না বলে থাকছেন না বিশ্বনাথ চৌধুরিও৷ সেদিক থেকে আজ পিএ কমিটির প্রথম বৈঠকে তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গেই আলোচনায় বসছেন কংগ্রেস বিধায়ক৷ তৃণমূল প্রথম থেকেই এই ইস্যুতে মানসের পাশে৷ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “অধ্যক্ষের নির্দেশ মেনে প্রথম থেকেই আমরা এই কমিটিতে মানসবাবুকে সহযোগিতার কথা বলে এসেছি৷ মঙ্গলবারের বৈঠকে কমিটিতে আমাদের দলের সব বিধায়কই থাকবেন৷” বামেদের তিনজন, কংগ্রেসের চেয়ারম্যান-সহ চারজন ছাড়া বাকি তেরোজন শাসক দলের বিধায়ক নিয়ে গঠিত এই কমিটি৷
এদিন দুপুরেই কংগ্রেসের তিন সদস্য শংকর সিং, সুখবিলাস বর্মা ও অসিত মিত্রকে আজকের বৈঠকে থাকতে নিষেধ করে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না পরিষদীয় দল নির্দেশ দিচ্ছে, ততক্ষণ পিএ কমিটির বৈঠকে তাঁদের যাওয়া হবে না৷ তবে বুধবার সব কমিটির চেয়ারম্যানদের নিয়ে যে বৈঠক ডেকেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে অবশ্য বাম ও কংগ্রেস উভয়েই যোগ দেবে বলে জানানো হয়েছে৷ তবে এই যাবতীয় বিতর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান৷ তবে ঘনিষ্ঠমহলে মানসের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর৷ মান্নান-ঘনিষ্ঠ এক বিধায়ক জানান, এই কাদা ছোড়াছুড়িতে মান্নানদা নিজেকে জড়াতে চান না৷ তবে তিনি যা করেছেন, হাইকমান্ডের নির্দেশেই৷ আগামিদিনে মানসের বিরুদ্ধে যদি কোনও কঠোর পদক্ষেপ বিরোধী দলনেতা গ্রহণ করেন, তা হলে মনে করতে হবে, তা-ও হবে হাইকমান্ডের নির্দেশে৷ যেমন, রাজ্যসভার নির্বাচনে হাইকমান্ড লিখিত কোনও নির্দেশ না পাঠালেও শুধুমাত্র তৎকালীন পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবের মুখের কথাতেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন মান্নান৷ রাতে সাংসদ ডালু চৌধুরি মানসের বাড়ি যান৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ