ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্ম থেকেই ঠিকানা ছিল অনাথ আশ্রম। একদিন খবর এল দত্তক নেওয়া হচ্ছে তাকে। শিশুমন খুশিতে উজ্বল হয়ে উঠেছিল। সানন্দে পালক বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে গিয়েছিল পাঁচ বছরের ছেলেটা। কিন্তু নতুন বাড়িই বিভীষিকা হয়ে উঠল তার কাছে। অপরাধ? ছেলের গায়ের রং কালো। তাই পাথর দিয়ে চামড়া ঘষে তাকে ফরসা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন পালিতা মা। আর এই চেষ্টাতেই ক্ষতবিক্ষত হয়েছে পাঁচ বছরের বাচ্চার শরীর। খবর পেয়েই উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। ভরতি করা হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের নিশাতপুরা থানা এলাকায়।
[ক্ষমা চাইলেন কেজরি, মঞ্জুর করে মামলা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত জেটলির]
অভিযুক্ত মহিলার নাম সুধা তিওয়ারি। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা তিনি। সুধার স্বামী এক বেসরকারি হাসপাতালের ঠিকা কর্মী। দু’জনে মিলে প্রায় দেড় বছর আগে ভোপালের এক অনাথ আশ্রম থেকে ওই শিশুকে দত্তক নেন। অভিযোগ, দত্তক নেওয়ার পর থেকেই ছেলের গায়ের রং নিয়ে আপত্তি ছিল সুধার। ছেলেকে ফরসা করার জন্য সবরকম চেষ্টা করছিলেন তিনি। কয়েকমাস আগে একজন তাঁকে পরামর্শ দেন, কালো পাথর দিয়ে শিশুর চামড়া ঘষলে সে ফরসা হয়ে যাবে। এই পরামর্শ মেনেই রোজ পাঁচ বছরের শিশুকে কালো পাথর দিয়ে ঘষতেন ওই মহিলা। ব্যথায় চিৎকার করত ছোট শিশুটি। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। তা সত্ত্বেও রোজ এই অত্যাচার করা হত। শিশুর কষ্ট দেখে নিশাতপুরা থানায় ফোন করে সুধার বোনের মেয়ে। তাঁর অভিযোগে ভিত্তিতেই পুলিশ সুধার বাড়ি হানা দিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে।
[স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নেই, অটোতেই প্রসব মহিলার]
প্রথমে হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় চাইল্ড কেয়ার সংস্থার হাতে। আপাতত চাইল্ড কেয়ারের আশ্রয়েই রয়েছে শিশুটি। পুলিশের প্রশ্নের মুখে সে জানায়, নিজে শিক্ষিকা হলেও তাকে কোনওদিন স্কুলে পাঠাননি পালিতা মা। চাইল্ড কেয়ারের তরফ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরিই সুধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অনাথ আশ্রমের প্রতিনিধিদেরও। কেন তাঁরা দত্তক হিসেবে দেওয়ার পর শিশুর আর কোনও খোঁজ নেননি, সেই প্রশ্নও তোলা হবে। যদিও আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি, ফোনে শিশুর খবরাখবর নেওয়া হয়েছিল।
[বিয়েতে নাচ-গান ইসলাম বিরোধী, মত দারুল উলুম দেওবন্দের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.