সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্পিকারদের অনুরোধ, উপরোধেও কাজ হয়নি। সংসদের কাজকর্ম প্রায় শিকেয় উঠেছে। রোজই কোনও না কোনও দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সংসদ। ফলে মুলতুবি হচ্ছে অধিবেশন। এই প্রেক্ষিতেই এবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এনডিএ সাংসদরা। যে ক’দিন কাজ হয়নি, সে ক’দিনের বেতন নেবেন না তাঁরা।
[ ৫ স্বঘোষিত ধর্মীয় গুরুকে মন্ত্রীর তকমা দিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার ]
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে প্রায় কোনও কাজই হয়নি সংসদে। রোজই কোনও না কোনও বিষয়ে উত্তাল হয়েছেন সংসদরা। সরকারি কোনও সিদ্ধান্ত বা বিলের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীরা। ফলে ক্রমাগত অচল হয়েছে সংসদ। কোনও বিল পাশ তো দূরে থাক, আলোচনা পর্যন্তও সম্ভব হয়নি। রাজ্যসভা ও লোকসভা- উভয় কক্ষেরই চেহারা একই রকম। এই পরিস্থিতি অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও বারবার ভণ্ডুল হয়েছে সংসদের কাজকর্ম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় একাধিকবার এ বিষয়ে সতর্ক করিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, কোনও রাজনৈতিক কারণে যেন সংসদের কাজ বন্ধ না হয়। তাহলে দেশের অগ্রগতিই স্তব্ধ হয়ে যাবে। যদিও তাঁর কথা মেনে যে সংসদ চলবে এর কোনও মানে নেই। সংসদের কাজ সাম্প্রতিক সময়ের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী বদলাতে থাকে। কিন্তু মুলতুবি হওয়ার নিরিখে প্রতি অধিবেশনের ছবিটা যেন পালটায় না। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। এই হই-হট্টগোলের মধ্যেই বুধবার ব্যতিক্রমী ঘোষণা সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমারের। জানালেন, বিজেপি ও এনডিএ-র সহযোগী দলের কোনও সাসংদই এই ক’দিনের বেতন নেবেন না, যেহেতু সংসদে কোনও কাজ হয়নি। সাংসদদের ক্ষেত্রে কাজ ছাড়া বেতন নয় অর্থাৎ ‘নো ওয়ার্ক নো পে’র যে পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছিল, এদিন অনন্ত কুমারের এহেন ঘোষণায় তাই-ই যেন অনেকটা স্পষ্ট হল।
[ ‘অতিসক্রিয়’ রাজ্যপাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে নালিশ তৃণমূল সাংসদদের ]
এই পুরো বিপর্যয়ের দায় অবশ্য বিরোধী, বিশেষত কংগ্রেসের উপরই চাপান মন্ত্রী। জানান, সরকার সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। কিন্তু বিরোধীরা সে সুযোগই দিচ্ছেন না। ফলে কোনও বিলই পাশ হচ্ছে না। করদাতাদের টাকা নষ্ট করা এবং যা অপরাধেই শামিল, তাই-ই বিরোধীরা করে চলেছে বলে তোপ দাগেন মন্ত্রী। এই ধরনের রাজনীতি গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয় বলেই জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.