Advertisement
Advertisement

Breaking News

নাগরিকদের হেনস্তা রুখতে কাউন্সিলরদের ক্ষমতা ছাঁটল প্রশাসন

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তোলাবাজির অভিযোগে সল্টলেকের দলীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে শুধুমাত্র গ্রেফতার করেই থামছে না তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার৷এবার অন্য কাউন্সিলররাও যাতে মিউটেশন, প্ল্যান অনুমোদন, নিকাশি বা জলের সংযোগ ও ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার মতো নানা পরিষেবার অজুহাতে নাগরিকদের হেনস্তা না করতে পারেন তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন […]

No need of councillor's Signature for building plan, meautation etc
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 13, 2016 9:06 am
  • Updated:July 29, 2019 2:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তোলাবাজির অভিযোগে সল্টলেকের দলীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে শুধুমাত্র গ্রেফতার করেই থামছে না তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার৷এবার অন্য কাউন্সিলররাও যাতে মিউটেশন, প্ল্যান অনুমোদন, নিকাশি বা জলের সংযোগ ও ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার মতো নানা পরিষেবার অজুহাতে নাগরিকদের হেনস্তা না করতে পারেন তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর৷ মঙ্গলবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “পুর আইনে কোথাও লেখা নেই প্ল্যান অনুমোদন বা নিকাশি অথবা জলের সংযোগের জন্য কাউন্সিলরের স্বাক্ষর লাগবে৷ সমস্ত অনুমোদনই সরাসরি পুর-প্রশাসনের অফিসার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের করার কথা৷ কিন্তু কিছু পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স, বিল্ডিং প্ল্যান বা জলের সংযোগ নিতে গেলে কাউন্সিলরের সম্মতি নেওয়ার একটা প্রথা রয়েছে৷ এটা বাম জমানা থেকেই চালু৷ কিন্তু চলতি পুরআইনের উল্লেখ করেই সমস্ত পুরসভাকে ফের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোনও পুর-পরিষেবা পেতে কাউন্সিলরের স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই৷” এই নির্দেশ রাজ্যের ১১৬ টি পুরসভা ও সাতটি কর্পোরেশনের ২৬৩২টি ওয়ার্ডের সমস্ত দলের নির্বাচিত কাউন্সিলরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এবং বাধ্যতামূলক বলে পুরমন্ত্রীর দাবি৷

পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানদের হাত থেকে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষমতা গত বছর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশাসনিক অফিসারদের দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ আসলে রাজ্যের সমস্ত পুরসভাতেই পরিষেবাকে আরও বেশি ‘নাগরিক বন্ধু’ ও প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতে কাউন্সিলরদের বেআইনিভাবে টাকা তোলা বন্ধে এবার তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার৷ পুর দফতরের তরফে কাউন্সিলরের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং ভূমিকা কী হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে এদিন পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন৷ ফিরহাদের কথায়, “ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, আলো, পানীয় জল এবং সৌন্দর্যায়ন নিয়ে অবশ্যই পুর বৈঠকে দরবার করবেন কাউন্সিলররা৷” সরকারি নির্দেশিকা এবং দলের অনুশাসন ভেঙে যদি কোনও কাউন্সিলর পুর-নাগরিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা হেনস্তা করেন তবে তার অবস্থা যে অনিন্দ্যর মতো হবে তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷ উল্লেখ, দক্ষিণ দমদমে ট্রেড লাইসেন্স, রাজপুর-সোনারপুরে বাড়ির প্ল্যান এবং কলকাতা পুরসভায় নিকাশির সংযোগ নিতে গেলে কাউন্সিলরের সই বাধ্যতামূলক বলে অভিযোগ আসছিল৷

Advertisement

পুর পরিষেবা দেওয়ার নামে কাউন্সিলরদের টাকা তোলা নিয়ে গত কয়েক বছরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য পুর দফতরের কাছে অজস্র অভিযোগ এসেছে৷ এছাড়াও বিধানসভা ভোটে রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় দলের ফল খুবই খারাপ হয়েছে৷ কাউন্সিলরের আচরণ এবং পরিষেবা দেওয়ার অজুহাতে টাকা তোলার বিষয়টি ভোটে প্রভাব ফেলেছে বলে দলের নির্বাচনী বিশ্লেষণে উঠে এসেছে৷ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলের সমস্ত পুরসভার প্রধানদের তৃণমূল ভবনে ডেকে দলের গাইডলাইন এবং কঠোর অনুশাসনের বার্তা জানিয়ে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ দলের তরফে ওই বৈঠকের পর পুর দফতর থেকেও কাউন্সিলরদের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কতর্ব্যর কথা জানিয়ে দিল সরকার৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ