BREAKING NEWS

১৩ আশ্বিন  ১৪৩০  রবিবার ১ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

কলকাতায় প্রকাশিত গবেষণায় বিশ্বজয়, ‘গণিতে নোবেল’ পাচ্ছেন শতায়ু ভারতীয় বিজ্ঞানী

Published by: Kishore Ghosh |    Posted: April 11, 2023 1:41 pm|    Updated: April 11, 2023 2:34 pm

Now 102 year old Calyampudi Radhakrishna Rao awarded with Math 'Nobel Prize' | Sangbad Pratidi

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এককালে কলকাতায় প্রকাশিত গবেষণা। মূলত তার জোরেই ‘গণিতের নোবেল’ পাচ্ছেন শতায়ু ভারতীয়-মার্কিন পরিসংখ্যানবিদ তথা বিজ্ঞানী ক্যালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও (Calyampudi Radhakrishna Rao)। ২০২৩ সালের ‘আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার’ (International Prize in Statistics) বা ‘গণিতের নোবেল’ পাচ্ছেন তিনি। আগামী জুলাই মাসে কানাডার অন্টারিওতে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট আয়োজিত বিশ্ব পরিসংখ্যান কংগ্রেসে সিআর রাওয়ের হাতে ৮০ হাজার ডলার মূল্যের এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা গবেষণা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান এবং প্রয়োগে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে রাওকে।

আদতে কর্ণাটকের বাসিন্দা রাও যে তিনটি মৌলিক গবেষণার জন্য ভূবনখ্যাত, তা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। যার সঙ্গে রয়েছে এই বাংলার যোগ। ওই গবেষণাগুলি প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি’র বুলেটিনে। আসলে তেলেগু পরিবারে সন্তান রাও অন্ধ্রপ্রদেশে স্কুল শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন উচ্চশিক্ষার জন্যে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে এমএ ডিগ্রি আর্জন করেন। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসি হন। তারপর বিদেশ যাত্রা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে ডক্টরেট এবং ১৯৬৫ সালে কেমব্রিজ থেকেই ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।

[আরও পড়ুন: ‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে’, মোদি সরকারকে ফের তোপ সোনিয়ার]

রাওয়ের তিনটি মৌলিক গবেষণার অন্যতম ‘ক্রেমার-রাও লোয়ার বাউন্ড’। অনুমানের কার্যকারিতাকে প্রতিষ্ঠা দেয় এই তত্ব। দ্বিতীয়টি হল ‘রাও-ব্ল্যাকওয়েল থিওরেম’ এবং তূতীয় ‘তথ্য জ্যামিতি’ নামে পরিচিত। বিগ ব্যাং তত্ব ব্যখ্যায় তথা হিগস বোসন কণা পর্যবেক্ষণে ‘তথ্য জ্যামিতি’কে ব্যবহার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গাই নেসন বলেছেন, “এই পুরস্কারের প্রদানের মাধ্যমে সিআর রাও-এর স্মরণীয় কাজগুলিকে উদযাপন করছি আমরা। যে কাজগুলি শুধুমাত্র তাঁর সময়ের পরিসংখ্যানগত ভাবনার বৈপ্লবিক পরিবর্তনই আনেনি, পাশাপাশি সার্বিক বিজ্ঞান চেতনার উপরেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।”

[আরও পড়ুন: কোভিড কেড়েছে বাবা ও দাদুকে, তবু লক্ষ্যে অবিচল, ১৫ বছরেই স্নাতক পরীক্ষায় বিস্ময় কন্যা!]

ভারত-সহ গোটা বিশ্বের একধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন সিআর রাও। দীর্ঘ জীবনে অসংখ্য সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন বর্তমানে বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এমিরিটাস প্রফেসর। ১০২ বছরের বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যানবিদকে ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করেছে ভারত সরকার।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে