Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুজোয় স্টলের খাবারের মান দেখবে পুজো কমিটিই!

স্বাস্থ্য কর্তাদের আশা, এতে যেমন খাবারের মান বজায় থাকবে, তেমনই রোখা সম্ভব হবে পুজোর খাবারের ভেজাল৷

Now Puja committee will take care of stall beside pandal!
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 19, 2016 9:10 am
  • Updated:September 19, 2016 9:14 am

অনির্বাণ বিশ্বাস: শুধু পুজো নয়, এবার ভূরিভোজের মানের দায়িত্বও নিতে পুজো উদ্যোক্তাদের৷ প্যান্ডেলের পাশে শুধু টাকার বিনিময়ে স্টল বসালেই হবে না, উদ্যোক্তাদের লক্ষ রাখতে হবে খাবারে ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিসের উপর৷ কীভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে অথবা খাবারে কোনও  রঙের ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা নিয়েও সচেতন থাকতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে৷ কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে খুব শীঘ্রই পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের ডেকে এই বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ জানানো হবে৷ স্বাস্থ্য কর্তাদের আশা, এতে যেমন খাবারের মান বজায় থাকবে, তেমনই রোখা সম্ভব হবে পুজোর খাবারের ভেজাল৷

পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে, বারবার বিভিন্ন খাবার জায়গায় সচেতনতার অভিযান চালিয়ে কিছুটা সাফল্য মিলেছে৷ কিন্তু বর্ষার সময় খাদ্যে ভেজালের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগকে বাড়তি নজরদারি করতে হয়েছিল ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে৷ এখন বর্ষা প্রায় শেষের পথে, তাই পুজোকে সামনে রেখেই রাসায়নিক রং, ভেজাল তেলে তৈরি খাবার রুখতে এবার বদ্ধপরিকর কলকাতা পুরসভা৷

Advertisement

কারণ স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, সারা বছর যাঁরা খাবার তৈরি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁরা কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবসা করেন৷ ফলে খদ্দের ধরে রাখতে প্রয়োজনের তুলনায় তাঁরা কম ভেজাল মেশান খাবারে৷ কিন্তু পুজো আসলেই অস্থায়ীভাবে দোকান দিয়ে অনেকে বাড়তি পয়সা রোজগারের আশায় থাকেন৷ তাঁরাই সবচেয়ে বেশি খারাপ মানের খাবার বিক্রি করেন৷ তার মধ্যে রং ভর্তি সস, অত্যন্ত খারাপ মানের চাউ, অল্পদামের পাম অয়েল ব্যবহার সবচেয়ে বেশি৷ সঙ্গে রয়েছে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে খাবার তৈরি ও তা পরিবেশন করার সংস্কৃতি৷ এগুলিকে আটকাতেই স্বাস্থ্যবিভাগ বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে৷

Advertisement

প্রথমে ঠিক হয়েছিল যেভাবে ডেঙ্গু মোকবিলার সচেতনতার প্রচার করা হয় এক্ষেত্রেও তাই করা হবে৷ কিন্তু পরর্বতীকালে স্বাস্থ্যকর্তা তথা মেয়র পারিষদের মনে হয়েছে এই ভেজাল ঠেকাতে শুধু প্রচার করলেই হবে না৷ কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে ভেজাল রুখতে৷ তাই পুজো উদ্যোক্তাদের এর সঙ্গে যুক্ত করতে পারলেই ভেজাল অনেকটা রোখা সম্ভব হবে৷ স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে সব পুজো উদ্যোক্তাদের না ডেকে পুজো কমিটিগুলির যে অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে তাদের সঙ্গে বসবে পুরসভা৷ ওই কমিটিগুলির মাধ্যমে পুজো কমিটিগুলিকে এই দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হবে৷

স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তারা মনে করছেন, পুজো প্যান্ডেলের পাশে যে অস্থায়ী খাবার স্টল বসে তার জন্য সংশ্লিষ্ট পুজো উদ্যোক্তাদের অনুমতি নেয় খাবারের দোকানদাররা৷ তাই সামাজিক এই দায়িত্ব উদ্যোক্তাদের দিলে কেউ না করবেন না৷ পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে ব্যবসা করলে কোনও সমস্যা নেই৷ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয় না৷ বেশিরভাগ দোকানদার ব্যবহার করেন না অ্যাপ্রন, মাথা ঢাকার টুপি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবারে ব্যবহার করতে হবে খাঁটি ব্র্যান্ডেড জিনিস৷ প্রয়োজনে দাম যদি একটু বেশি পড়ে তাতেও না নেই পুরসভার৷

পুজো মিটলেই অবশ্য সারা শহরজুড়ে ফের দফায় দফায় শুরু হবে খাবারে ভেজাল ঠেকানোর অভিযান৷ ইতিমধ্যে সেই পরিকল্পনাও শেষ হয়েছে স্বাস্হ্য বিভাগের৷ তবে তার আগেই পুজোকে সামনে রেখে কলকাতায় ‘টেস্ট ড্রাইভ’ করতে চাইছে পুরসভা৷ ইতিমধ্যে শহরের বেশকিছু খাদ্য গলিতে পুর স্বাস্হ্য বিভাগের তরফে অভিযান চালিয়ে ভেজাল আটকানোর চেষ্টা হয়েছে৷ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে অ্যাপ্রন ও মাথা ঢাকার টুপি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ