Advertisement
Advertisement

Breaking News

মজবুত পরিকাঠামোর ভিত্তিতে লগ্নি বাড়ছে হলদিয়ায়: শুভেন্দু

তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন চাকা সত্যিই দ্রূত ঘুরছে৷

On the base of construction, Haldia is improving fast: Suvendu
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 27, 2016 10:54 am
  • Updated:July 27, 2016 10:54 am

তরুণকান্তি দাস: চাকা তো গড়াচ্ছিল৷ এবার তা ঘুরছে আরও দ্রূত৷ বলা ভাল দ্রূততর৷ একের পর এক প্রকল্পে ঝুলি ভরছে রাজ্যের শিল্পায়নের মুখ হলদিয়ার৷ গত একবছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ৷ যে লগ্নির অঙ্গ হিসাবে মঙ্গলবার এখানে ইমামি গোষ্ঠীর ভোজ্য তেল কারখানা তার বিস্তার ঘটাতে আরও ৩০০ কোটির লগ্নি করে ফেলল৷ এই অঙ্ক ধরলে হলদিয়ায় ইমামি অ্যাগ্রোটেকের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে এক হাজার কোটি টাকা৷ প্রকল্পের শিলান্যাস করে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিলেন, “কেন্দ্রের পরিবেশগত বিধিনিষেধের বেড়া উঠে যাওয়ায় একের পর এক সংস্থা তাদের প্রকল্প বাড়াচ্ছে৷ এসেছে নতুন শিল্পও৷ বাড়ছে কর্মসংস্থান৷ ইমামি অ্যাগ্রোটেকের এই সম্প্রসারিত প্রকল্পে আরও ২০০ মানুষ কাজ পাবেন৷” সংস্থার দুই কর্তা আদিত্যবর্ধন আগরওয়াল এবং মণীশ গোয়েঙ্কার আশ্বাস, “দেশে সর্ববৃহৎ ভোজ্য তেল উৎপাদক হিসাবে কিছুদিনের মধ্যেই ইমামির আত্মপ্রকাশ ঘটবে৷ শুধু এই ক্ষেত্রেই নয়, বর্ধমানের পানাগড়ে সিমেন্ট প্রকল্পের কাজ চলছে৷ সেখানে প্রায় ৫০০ কোটি বিনিয়োগ হচ্ছে৷ তবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সিমেন্ট ব্যবসায় লগ্ণির অঙ্ক তিন হাজার কোটি৷ ভোজ্য তেলের কারখানায় সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে দেশের ‘সিঙ্গল ইউনিট’ হিসাবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হবে এখানেই৷”

মঙ্গলবার অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে অনেকগুলি ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী৷ শিল্পবান্ধব পরিবেশের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিকাঠামো উন্নয়নে আমরা সদা সচেষ্ট৷ প্রায় সাড়ে এগারো কোটি টাকায় জলনিকাশি প্রকল্প যেমন দ্রূত কার্যকরের কথা ভাবা হয়েছে তেমনই হলদিয়া পেট্রোকেম লিঙ্ক রোড সাজিয়ে তোলা হবে৷ রাস্তায় বসবে আলো৷” শুভেন্দুবাবুর আবেদন, “সামাজিক দায়বতার কথা মাথায় রেখে কিছু কাজ করতে হবে শিল্পপতিদেরও৷” হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি যে বদলে গিয়েছে তা মানছে রাজ্যের বণিকমহলও৷ মার্চেণ্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মণীশ গোয়েঙ্কা৷ ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আদিত্যবর্ধন আগরওয়াল৷ দু’জনেই ইমামি গোষ্ঠীর কর্তা৷ তাঁদের উপলব্ধি, “পরিস্থিতি বদলেছে এবং তা ইতিবাচক বলেই তো আমরা এখানে কারখানা সম্প্রসারণে লগ্ণি করতে পারছি৷ শুভেন্দুবাবু আগেও সমস্যায় পাশে থেকেছেন৷ এখনও থাকেন৷ সরকারের মনোভাবও তো লগ্নিবান্ধব৷”

Advertisement

বণিকসভা যে ভুল বলছে না তার প্রমাণ দিচ্ছে তথ্য৷ যে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন চাকা সত্যিই দ্রূত ঘুরছে৷ তিনি জানান, “২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিষেধাজ্ঞা উঠেছে৷ তার পর থেকেই তো বাড়ছে লগ্ণি৷ গত বছর যে ১০ হাজার কোটির বিনিয়োগ এসেছে তা তো খাতায় কলমে নয়৷ কাজ হচ্ছে৷ ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন ৪২০০ কোটি, এক্সাইড ৫০০ কোটি, আইপিসিএল ২০০০ কোটি লগ্নি করছে৷ আইপিসিএলের প্রকল্প কাজ শুরু করে দেবে সেপ্টেম্বর নাগাদ৷ আমরা শিল্পায়নের পাশাপাশি এখানকার পরিবেশের কথা মাথায় রেখেছি৷ জাতীয় সড়কের ডিভাইডার ধরে গাছ লাগানো হয়েছে৷ সব মিলিয়ে হলদিয়া এখন দেশের অন্যতম নজরকাড়া শিল্পাঞ্চল৷”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ