Advertisement
Advertisement

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে কোমর ভেঙেছে লস্কর জঙ্গিদের

ভারতীয় ফৌজের অভিযানের আফটার শকে এখনও কেঁপে কেঁপে উঠছে পাক রেঞ্জার্স ও আইএসআই মদতপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা৷

Pakistan-based Lashker-e-Taiba suffered maximum damage in surgical strikes, 20 militants killed
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 9, 2016 4:44 pm
  • Updated:October 9, 2016 5:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ক্ষত ঠিক কবে ভুলতে পারবে পাকিস্তান, সে কথা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই৷ কারণ, ভারতীয় ফৌজের অভিযানের আফটার শকে এখনও কেঁপে কেঁপে উঠছে পাক রেঞ্জার্স ও আইএসআই মদতপুষ্ট লস্কর জঙ্গিরা৷ তবে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এবার লস্কর জঙ্গিদের দাপট অনেকটাই কমতে বাধ্য৷ কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার৷ সেনার অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাডে অভিযান চালিয়ে অন্তত ২০ জন লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে৷ পাক সেনার কথোপকথনে গোপনে আড়ি পেতে জওয়ানরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন৷

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দুধনিয়াল লঞ্চপ্যাডে সেনা অভিযানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জঙ্গিদের৷ সূত্রের খবর, ভারতীয় জওয়ানরা যে পাল্টা হামলা চালাতে পারে, সে কথা স্বপ্নেও ভাবেনি জঙ্গিরা৷ বরং পাক রেঞ্জার্সের নিরাপদ আশ্রয়ে বসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে রক্তাক্ত করার পরিকল্পনা কষছিল জঙ্গিরা৷ আর ঠিক সেই সময় ভারতীয় ফৌজের পাঁচটি স্পেশাল টিম জঙ্গিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ এলওসি থেকে ৭০০ মিটার দূরে পাক সেনাঘাঁটি পেরিয়ে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাডগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ফৌজ৷ সূত্রের খবর, লস্করের কাছে এরকম মারণ হামলার কোনও আগাম খবর ছিল না৷ থাকলেও, সেই হামলার জবাব দেওয়ার হিম্মত জঙ্গিদের ছিল না৷

Advertisement

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক প্রান্ত দিয়ে জঙ্গিরা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে ফেলেছিল৷ পাক জঙ্গিদের চরিত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতেন, কোনও বড় ধরনের হামলা চালানোর আগে জঙ্গিদের এক জায়গায় জড়ো হতেই হবে৷ সেই মোক্ষম সময়েরই অপেক্ষায় ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী৷ পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের পাল্টা মার দেওয়ার গ্রিন সিগন্যাল মিলতেই অপারেশনের নীল নকশা তৈরি হয়ে যায়৷ ঠিক হয় গোটা অপারেশন শেষ করতে হবে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে৷ যাতে সকালের আলো ফোটার আগেই দেশে ফিরে আসতে পারেন জওয়ানরা৷ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আক্রমণের স্থান নির্বাচন৷ সেনা সূত্রে খবর, পাক সেনা বাহিনী ভেবেছিল ভারতীয় সেনারা পাল্টা হামলা চালাবে কুপওয়ারার মতো কাশ্মীর উপত্যকার কোনও সীমান্ত এলাকায়৷ সে কথা আঁচ করে বেছে নেওয়া হয় জম্মু এলাকাকে৷

Advertisement

যদিও পাকিস্তান এখনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয়নি৷ তাদের দাবি, সীমান্তে গুলির লড়াইয়ে কেবল দুই পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে৷ তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, সেনার ‘অপারেশন’ শেষে নিয়মমাফিক পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশনের ডিজিকে গোটা ঘটনাই জানানো হয়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ