Advertisement
Advertisement

Breaking News

অনিন্দ্যর সঙ্গীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা

দল নির্বিশেষে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যেভাবে রাজধর্ম পালন করলেন, সেই পথেই শুরু হয়ে গেল অনিন্দ্যর সহযোগী এবং যে প্রভাব খাটিয়ে অনিন্দ্য এই কাজ করার সাহস পেত, তার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার তদন্ত৷

police is investing the role of Anindya's friends
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 13, 2016 2:33 pm
  • Updated:August 12, 2021 5:06 pm

স্টাফ রিপোর্টার: তোলাবাজির অভিযোগ ছিল সল্টলেকের কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বিরু‌দ্ধে৷ অভিযোগ, কাউন্সিলরের ‘হাত পাতার’ জের রীতিমতো অত্যাচার হয়ে দাঁড়িয়েছিল সল্টলেকের ওই এলাকার মানুষের কাছে৷ তাই অনিন্দ্যকে গ্রেফতার করিয়ে রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, “কাজের বিনিময়ে কেউ টাকা চাইলেই পুলিশকে জানাতে হবে৷ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া কাউন্সিলর-সহ সব জনপ্রতিনিধির কাজ৷ নিঃস্বার্থভাবে সেই কাজ করে যেতে হবে৷”

দল নির্বিশেষে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যেভাবে রাজধর্ম পালন করলেন, সেই পথেই শুরু হয়ে গেল অনিন্দ্যর সহযোগী এবং যে প্রভাব খাটিয়ে অনিন্দ্য এই কাজ করার সাহস পেত, তার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার তদন্ত৷ রাজ্যজুড়ে এমন তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বারবার এসেছে৷ কাদের প্রশ্রয়ে কোন কোন সহচরের সঙ্গে এই কাজে হাত পাকিয়েছেন রাজ্যের অভিযুক্ত কাউন্সিলররা, খতিয়ে দেখা শুরু হয়ে গেল তাদের ইতিহাসও৷
তোলাবাজির অভিযোগে ধৃত অনিন্দ্য এখন দমদমে সেন্ট্রাল জেলের কয়েদি৷ নিজেদের হেফাজতে আর তাকে নিতে চায়নি পুলিশ৷ জানিয়েছে, গ্রেফতারির দিন ভোর থেকে জেরার মুখে যে যে তথ্য বা নাম জানিয়েছে কাউন্সিলর, তা-ই যথেষ্ট৷ এখন শুধু সেইসব নাম খতিয়ে দেখার পালা৷ একইসঙ্গে তথ্য যাচাইয়ের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সেই সমস্ত তথ্যের মাধ্যমেই তার সহযোগীদের কার্যকলাপ ও প্রক্রিয়া পড়েছে তদন্তের মুখে৷ ফলে দীর্ঘদিন অনিন্দ্যর সহযোগী বা সহযোগী নয়, এমন অনেককেই যে কোনও মুহূর্তে পড়তে হতে পারে পুলিশি তদন্তের মুখে৷ অভিযোগে তাঁর বা তাঁদের নাম জড়ানোর প্রমাণ মিললে সাজা হবে তাঁদেরও৷

Advertisement

অনিন্দ্যর ক্ষেত্রে একেবারে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ খবর মিলেছে, অনিন্দ্য একা ছিল না৷ তবে আর কাদের যোগ ছিল অনিন্দ্যর এই কাজে? কমিশনারেট সূত্রে খবর, অনিন্দ্যর কল-লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ সঙ্গে খোঁজ চলছে তাঁর আয়-ব্যয়ের হিসাবের৷ হিসাব নেওয়া হচ্ছে কাউন্সিলরের ব্যাঙ্ক-অ্যাকাউন্টেরও৷ কাদের ছত্রছায়ায় থেকে অনিন্দ্য এই ধরনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিল, পুলিশের পাশাপাশি প্রথমেই সেই তদন্ত সেরে রাখছে দলও৷

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, অন্তর্তদন্তে ইতিমধ্যে একাধিক সূত্র পেয়েছে দল৷ তাদের কাছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তাও পৌঁছে গিয়েছে৷ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই মমতা যে কড়া হাতে দল ও প্রশাসন সামলাবেন, বার্তা গিয়েছে তারও৷ জানা গিয়েছে, প্রাথমিক খোঁজখবর শেষ করেই তার সূত্র জানানো হবে পুলিশকেও৷ আর দল বা প্রশাসনের এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনওভাবে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির প্রমাণ মিললে শাস্তির খাঁড়া নামবে তার ঘাড়েও৷ পুলিশ জানিয়েছে, অনিন্দ্য যাতে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনওভাবে তদন্ত ‘ট্যাম্পার’ বা প্রভাবিত করতে না পারে, সেটা আটকাতেই একেবারে আচমকা জেলে পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছিল৷ বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানিয়েছেন, “দলের নির্দেশই শিরোধার্য৷ শীর্ষ নেতৃত্বের কথা শুনেই দল চলবে৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ