Advertisement
Advertisement

Breaking News

জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কায় নজরবন্দি শহর

এখনও অরক্ষিত শিয়ালদহ-হাওড়া স্টেশন...

Police warns of terror attack before Independence Day

রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে মুখ্যমন্ত্রীর ডামি নিয়ে –অরিজিত্‍ সাহা

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 12, 2016 9:40 am
  • Updated:August 12, 2016 2:40 pm

স্টাফ রিপোর্টার:  স্বাধীনতা দিবসের আগে জঙ্গি নাশকতার বিষয়ে কলকাতা পুলিশকে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ তাই স্বাধীনতা দিবসের আগে থেকেই রেড রোড-সহ সারা শহরই ঘিরে ফেলা হচ্ছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে৷ লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার খাতিরে রেড রোড ঘিরে নেবে পুলিশের বিশেষ টিম৷ তার সঙ্গে পুরো রেড রোড টহল দেবে ‘বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ’ পুলিশ কুকুর৷ বম্ব স্কোয়াডের বিশেষ টিমও টহল দেবে রোডে৷ রেড রোডের আশপাশেও কোনও সন্দেহজনক বস্তু দেখলেও তা পরীক্ষা করে দেখা হবে৷ ময়দান এলাকায় কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি ঘোরাঘুরি করলেও তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহরে অতিরিক্ত দশ হাজার পুলিশ নামতে পারে৷

রেড রোডে প্যারেডের নিরাপত্তার জন্য পুরো রেড রোডকে বেশ কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে৷ প্রত্যেকটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন একজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক৷ রেড রোডের নজরদারির জন্য থাকছে প্রায় সাতটি ওয়াচ টাওয়ার৷ এছাড়াও তৈরি থাকছে রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম৷ নিরাপত্তার পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা৷ শহরে যে কোনও নাশকতা রুখতে শহরে প্রবেশ ও প্রস্থানের জায়গাগুলিতে সারা দিন ও রাতে গাড়ি পরীক্ষা চলছে৷ নজর রাখা হচ্ছে শহরের প্রত্যেকটি হোটেলের উপর৷ হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলির প্রত্যেক অতিথির পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ প্রত্যেকটি শপিং মল, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

Advertisement

অন্যদিকে, ১৫ আগস্ট জঙ্গি হামলার আশঙ্কা সত্ত্বেও হাওড়া ও শিয়ালদহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও অরক্ষিত৷ পরিচ্ছন্নতার দিকেই এখন বেশি নজর রেলের বলে যাত্রীরা রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছেন৷ বৃহস্পতিবারও স্টেশন দু’টিতে তেমন নজরদারি চোখে পড়েনি৷ বরং পরিচ্ছন্নতার প্রতি রেলের গুরুত্ব দেওয়াটা ছিল লক্ষণীয় বিষয়৷ রীতিমতো অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা চলছিল, স্টেশন অপরিচ্ছন্ন করলে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা জারিমানা আদায় করা হবে৷ এই ‘আদায়ের’ আইনকে কাজে লাগিয়ে দু’টি স্টেশনেই চলে ব্যাপক ধরপাকড়৷

Advertisement

যদিও আরপিএফ এবং জিআরপি উভয় প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এদিনই যৌথ আলোচনায় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে৷ হাওড়ার আরপিএফ-এর সিনিয়র কমান্ডান্ট সৌরভ ত্রিবেদী জানান, যৌথ নজরদারির পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স রাখা হবে স্টেশনগুলিতে৷ স্টেশনে পেট্রোলিং করবে আর্মড ফোর্স ও কমান্ডোরা৷ স্পর্শকাতর স্টেশন ও ট্রেনে নজরদারি চলবে রাত-দিন৷ সীমান্ত এলাকার স্টেশনগুলিতে বাড়তি নজরদারিও থাকবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ