Advertisement
Advertisement

‘ঘূর্ণাসুর’কে অগ্রাহ্য করে মহাষ্টমীতে শহরে জনপ্লাবন

আগামী ২ দিন বৃষ্টির দাপট আরও বাড়তে পারে৷

Rain in Kolkata to hinder Durga Puja celebrations
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 9, 2016 6:06 pm
  • Updated:October 9, 2016 6:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে আর মাত্র দু’টো দিন৷ তাই একটা মুহূর্তও আর নষ্ট করা যাবে না৷ এ শহরে তো বটেই, গোটা রাজ্যজুড়েই রবিবার মানুষের ঢল তা সাফ বুঝিয়ে দিল৷ ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে মহাষ্টমীতেও মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়৷ উত্তরবঙ্গেও ছবিটা প্রায় একইরকম৷ মুষলধারায় না হলেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় সব জেলাতেই৷ তবে ‘ঘূর্ণাসুর’কে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এদিন সকাল থেকেই শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের পথে নেমেছেন মানুষ৷ তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রতিমা-মণ্ডপ দেখতে বেরিয়ে ঘর্মাক্ত হয়ে গিয়েছেন দর্শনার্থীরা৷

ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে গত শুক্রবার রাত থেকে বজ্রপাত-সহ তুমুল বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে৷ কোথাও আবার সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ স্বাভাবিকভাবেই শুক্রবার রাতে পুজোর আনন্দে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে৷ তবে, গতকাল শনিবার মহাসপ্তমীর দুপুরের পর থেকেই পরিস্থিতি খানিকটা বদলায়৷ কোথাও রোদ উঠেছে কোথাও আবার মুখ ভার করে থেকেছে আকাশ৷ কিন্তু দুরুদুরু বুক নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে উৎসবমুখর মানুষের ঢল কিন্তু ছিলই৷ রাত বাড়তেই তা জনসমুদ্রের রূপ নেয়৷ আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস শুনে কপালে ভাঁজ পড়েছে উদ্যোক্তা থেকে পুজোপ্রেমী মানুষের৷ আবহাওয়াবিদরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, অষ্টমী ভালয় ভালয় কাটলেও নবমী থেকেই ফের বৃষ্টির দাপট বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ ফলে নবমী-দশমীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা পুজোর আনন্দে ফের ছন্দপতন ঘটাতে পারে৷

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন, ওড়িশার উপরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে৷ তার জেরে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে৷ আর সেটা তৈরি হয়ে গেলেই নবম-দশমী বৃষ্টিতে পণ্ড হতে পারে৷ তবে বৃষ্টি যতই চ্যালেঞ্জ ছুড়ুক, উৎসাহী জনতার কাছে তাকে হার মানতেই হয়েছে৷ অষ্টমীতে শাড়ি পরে, ছাতা মাথায় নিয়েই পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছেন অনেকে৷ দুপুর গড়াতেই প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরিয়ে পড়েছেন দর্শনার্থীরা৷

Advertisement

আজ সকালেও কলকাতার কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে৷ সেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছিল৷ কিন্তু বৃষ্টিরুপী অসুরের এই উপেক্ষা সহ্য হয়নি৷ তাই দুপুরেই ফের শহরকে ভারী বৃষ্টিতে ভরিয়ে দেয়৷ যদিও সেটা সর্বত্র হয়নি৷ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, যেখানে মেঘ দাঁড়াচ্ছে সেখানেই বৃষ্টি হচ্ছে৷ আর এই পরিস্থিতি চলবে নবমী পর্যন্ত৷ উদ্যোক্তারাও চিন্তায় রয়েছেন বৃষ্টি তাঁদের শিল্পকর্মকে ছাড় দেবে তো? আগামিকালও বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে৷ বরং বৃষ্টির তেজ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷ উত্তরবঙ্গের চার জেলাতেও বৃষ্টি চলবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ