টিটুন মল্লিক ও দয়াময় বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাম নবমীতে অস্ত্র মিছিল হল বাঁকুড়ায়। শুধু অস্ত্রের ঝনঝনানিই নয়, সঙ্গে চলল কান ঝালাপালা করে দেওয়ার মতো ডিজে। তবে এই দৃশ্য সন্ধ্যা নামার আগে দেখা যায়নি। সন্ধ্যায় এহেন দৃশ্য ক্যামেরবন্দি করতে দেখা গেল কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদেরই। সব মিলিয়ে একের পর এক আইন ভাঙার নমুনা দেখেও চুপ প্রশাসন।
রবিবার রাম নবমীতে সকাল থেকে গোটা জেলা যেন অলিখিত বন্ধের চেহারা নেয়। বেসরকারি বাস সেভাবে পথে নামেনি। হাতে গোনা সরকারি বাসই ছিল ভরসা। সেই সঙ্গে দোকানপাটও ছিল বন্ধ। সকাল থেকে শুধু শোভাযাত্রা। এদিন সকালে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সুসজ্জিত শোভাযাত্রা হয়। শোভাযাত্রা হয় বাঁকুড়া শহরের মালপাড়ায়। দুপুর তিনটের নাগাদ বাঁকুড়া শহর রাম নবমী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শুরু হয় শোভাযাত্রা। চাঁদমারিডাঙা হনুমান মন্দির থেকে কয়েক হাজার ঢাকঢোল-সহ মিছিল শুরু হয়। মিছিলেই মাথায় কলসি নিয়ে পা মেলান হাজার কানেক মহিলাও। এই শোভাযাত্রায় উপলক্ষে পথে নামেন বাঁকুড়া জেলার সভাধিপতি অরুপ চক্রবর্তী। শোভাযাত্রায় শামিল হন বাঁকুড়া শহর সহ আশপাশের ছাতনা, ইন্দপুর, তালডাংরা ব্লকের কয়েক হাজার তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। কার্যত জনস্রোতের রুপ নেয় এই শোভাযাত্রা। অন্যদিকে পাঁচবাগার মাঠ থেকে বজরংদল, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল শুরু হয়। অভিযোগ, এই পাঁচ বাগার ময়দানে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাতেই অস্ত্রের ঝলকানি দেখা যায় সন্ধ্যা নামার পর থেকে।
জেলার সর্বত্রই এদিন রাম নবমী উপলক্ষে মিছিলে মিছিলে যুবক যুবতীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন খাতড়া মহকুমার তৃণমূল ট্রেকার ইউনিয়ান ও বজরং দলের পক্ষ থেকে রাম নবমীর শোভাযাত্রা হয় সারেঙ্গায়। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, মিছিলে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে আজকের অস্ত্র মিছিল ও ডিজে বাজিয়ে আইন ভাঙার যে হিড়িক চলেছে, সেই প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরাকে ফোন করা হয়। যদিও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.