Advertisement
Advertisement

Breaking News

২০১৬ ভুলবে না যে ঘটনাগুলি

২০১৬য় জনজীবনে দাগ কাটা বেশকিছু ঘটনার স্মৃতিচারণা৷

 the most feared incident happened in 2016
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 31, 2016 4:16 pm
  • Updated:September 10, 2020 1:46 pm

বছরভর হাজারও ঘটনা৷ শুধু ঘটনা বললে ভুল হবে, দুর্ঘটনার ঘনঘটাও কম কিছু নয়৷ পরিসংখ্যান দেওয়া কঠিন৷ তবুও তারই মধ্যে বেশ কিছু ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনা দাগ কেটেছে আম আদমির জীবনে৷ বছর শেষে সেগুলিরই স্মৃতিচারনা করল সংবাদ প্রতিদিন

দুর্ঘটনায় আক্রান্ত অভিষেক

Advertisement

দিনটা ১৮ অক্টোবর, বহরমপুর থেকে কলকাতা ফেরার পথে সিঙ্গুরে গিয়েছিলেন৷ আর সেখান থেকে ফেরার পথেই হল বিপত্তি৷ পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কনভয়ের প্রথম গাড়িটির টায়ার ফেটে যায়৷ এবার সামনের গাড়িটির পথ আচমকা পরিবর্তন দেখে দুর্ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করে অভিষেকের গাড়ি৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি৷ অভিঘাতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বেশ কয়েকবার উল্টে যায় গাড়িটি৷ মাথায় ও চোখে গুরুতর চোট পান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ৷ তবে শহরের একটি নামী হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল শেষমেশ সুস্থ করে তোলে তৃণমূল কংগ্রেসের যুবরাজকে৷

Advertisement

abhi

থানে মাস কিলিং

একই পরিবারের একের পর এক সদস্যের গলাকাটা দেহ৷ ভয়াবহ এই খুনের ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রের থানেতে৷ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ৭ সন্তান-সহ পরিবারের ১৪ জনকে খুন করার পরে নিজেই আত্মহত্যা করে থানের কাসার ভাদাবলির বাসিন্দা ওই যুবক৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়, মৃত ১৪ জনের মধ্যে ৭ জন শিশু ও ৭ জন পূর্ণবয়স্ক৷ এরমধ্যে রয়েছেন খুনি যুবকের বাবা, মা, স্ত্রী-সন্তান ও বোনেরা৷ ঘটনার মূলচক্রী বছর ৩২ এর যুবক হাসনেইন ওয়াড়েকর৷ খুনের পর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে হাসনেইন৷ মৃত যুবকের হাত থেকে একটি ছুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ৷ ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান হুসনেলের এক বোন৷

thane-murder

কান্দিল বালোচ হত্যাকাণ্ড

পরিবারের সম্মানই নাকি শেষ কথা৷ সেখানে বোনের অপত্য স্নেহ কোনও গুরুত্বই পায়নি দাদার কাছে৷ তাই ২০১৬-র ১৬ জুলাই মুলতানের বাড়িতে পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ঘুমের মধ্যেই পাক মডেল কান্দিল বালোচকে শ্বাসরোধ করে খুন করল তার ভাই৷ তবে আপন ভাই নয়, তুতো ভাই৷ তবে নিজের হাতে খুন না করলেও কান্দিলের নিজের ভাই আরিফই নাকি সৌদি আরব থেকে অপর ভাই ওয়াসিমকে চাপ দেয়৷ অভিযোগ ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি উত্তেজক ছবি পোস্ট করতেন কান্দিল৷ আর সেকারণেই এর আগেও নাকি তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল৷ সূত্রের খবর, প্রাণের ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় চেয়েছিলেন কান্দিল৷ তাঁর আবেদন গ্রাহ্যও হয়েছিল৷ তবে শেষ রক্ষা হল না, তার আগেই ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল কান্দিলের৷ পুলিশি জেরায় বোনকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কান্দিলের তুতো ভাই ওয়াসিম৷ তবে শুধু কান্দিলই নয়, পাকিস্তানের মত দেশে এধরণে অনার কিলিং-এর ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের৷

baloch

দানা মাঝি

২০১৬-র অন্যতম হৃদয়বিদারক ঘটনা। হাসপাতালের কাছে চেয়ে মেলেনি শববাহী যান৷ অর্থের অভাবে স্ত্রীর মরদেহ নিজের কাঁধে তুলেই ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন স্বামী দানা মাঝি৷ পাশে ছিল তাঁর কিশোরী কন্যা৷ ওড়িশার বাসিন্দার এমন বেদনাদায়ক ঘটনা গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল৷ দলিত কৃষকের এমন অবস্থা দেখে প্রশ্ন জেগেছিল মানবিকতা বোধ নিয়ে৷ শুধু ভারত বললে ভুল হবে, গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল এই মর্মান্তিক খবর৷ যা শুনে অনেকের চোখের কোণেই জল এসেছিল৷ দানা মাঝিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন বাহরিনের প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স খলিফা বিন সলমন আল খলিফা৷ বাহরিনে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে দানা মাঝির কাছে ৮.৯ লক্ষ টাকার চেক পাঠান তিনি৷ তবে শুধু বাহরিনের প্রধানমন্ত্রী নয়, ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই এরকম বহু সাহায্যই পেয়েছেন দানা৷ সেই টাকা মেয়ের পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করবেন বলে জানান দানা মাঝি৷

dana-majhi

কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনা

দিনটা ২০১৬-র ২০ নভেম্বর৷ এখনও ওই দিনটির কথা ভাবলে শিউড়ে ওঠেন অনেকে। ভোর তখন সোয়া তিনটে৷ ইনদওর-পাটনা এক্সপ্রেসের বার্থে তখন কেউ ঘুমন্ত, কেউ বা আবার আধঘুমে৷ মাঝপথে হঠাৎ-ই লাইনচ্যুত হল ট্রেনটি৷ এক ঝটকায় ছিটকে পড়লেন সকলে৷ কানপুর সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের পুখরায়ানে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটি৷ মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৫০ জন যাত্রীর৷ আহত বহু৷ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু৷ ইনদওর-পাটনা এক্সপ্রেসের কামরাগুলি পুরনো ও চাকায় সমস্যা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি বহু রেল কর্মীর৷

kanpur

ব্রাজিল ফুটবলারদের প্লেন ক্র্যাশ

দিনটা ২৮ নভেম্বর৷ ৭১ জন যাত্রী নিয়ে উড়েছিল বিমানটি৷ যাত্রীদের মধ্যে ছিল ছিলেন ব্রাজিলের স্থানীয় একটি ফুটবল দলের সদস্যরা৷ ছিলেন ২১ জন সাংবাদিকও৷ ব্রাজিলের ভিরু-ভিরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল লামিয়া-2933 বিমানটি৷ আর কোপা সুদামেরিকানা টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে উড়েছিল ব্রাজিলের ওই ফুটবল দলটি৷ কিন্তু স্বপ্ন পূরণ আর হয়নি৷ মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ে বিমানটি৷ কপালের জোড়ে প্রাণে বাঁচেন তিন ফুটবল প্লেয়ার ও এক সাংবাদিক৷ যাঁরা বেঁচে ফেরেন তাঁদের দাবি, জ্বালানি কম থাকার কারণেই নাকি দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷ বিষয়টি নাকি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েওছিলেন বিমানচালক৷ তবে ঠিক কারণে এই দুর্ঘটনা বলে ঘটনা এখনও তদন্তাধীন৷

plane

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ