Advertisement
Advertisement

মোহর খুঁজতে মাঠে শয়ে শয়ে মানুষ, দৌলতাবাদের গ্রামে ব্যাপক শোরগোল

যক্ষের ধন আছে বলে মাঝে মাঝেই মাটি খুঁড়ে রাখে কে বা কারা।

Treasure trove or murder scene? Goldrush in Daulatabad
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 27, 2018 1:22 pm
  • Updated:October 27, 2018 5:19 pm

কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: মোহর পোঁতা রয়েছে বলে মাঠের মধ্যেই হাজির হয়েছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। মাঠের মধ্যে ফুল মিষ্টি পড়ে থাকতে দেখে সোনার মোহরের আসায় ছিল গ্রামবাসী। কিন্তু মাটি তুলে কিছুই পেল না পুলিশ প্রশাসন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর ব্লকের দৌলতাবাদের সউরাতলা গ্রামে।

[আইপিএলে বাজি ধরে সর্বস্বান্ত, ঋণ মেটাতে না পেরে আত্মঘাতী যুবক]

গুরুদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সউরাতলা গ্রাম। গ্রামের শেষে চার বিঘা জমিতে চাষ করেন মহিদুল আলি। কিন্তু ঐ জমি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ধারণা রয়েছে যে সেখানে যক্ষের ধন রয়েছে। বুধবার সকালে জমিতে চাষ করতে গিয়ে মহিদুল আলির ভাই নুরজামাল শেখ দেখেন মাঠের বেশ কিছুটা অংশ খোঁড়া রয়েছে। তার পাশে ফুল ধুপকাঠি সিঁদুর পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর লোক ভিড় করেন ঐ মাঠে। খবর যায় পুলিশের কাছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বহরমপুর বিডিও রাখি পাল, দৌলতাবাদের ওসি-সহ পুলিশ বাহিনী। বুধবার বিকেল পর্যন্ত চলে পাট পোঁতা জমিতে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। মাজিস্ট্রেটের সামনে তিন বাই তিন ফুটের কাঁচা মাটি তুলে মেলে না কিছুই।

Advertisement
[টানা ৪ দিন বন্ধ ব্যাংক, শুক্রবারের মধ্যেই সেরে রাখুন কাজকর্ম]

এ বিষয়ে জমির মালিক মহিদুল আলি জানান, চার বিঘা পৈতৃক সম্পত্তির মধ্যে তিনি সাড়ে সতেরো শতক জমিতে চাষ করেন। ঐ চার বিঘা জমি নিয়ে গ্রামে কথিত রয়েছে এক কাহিনি। বহু বছর পূর্বে এক ডাকাত ডাকাতির সোনা দানা পুতে রেখেছিল ওই জমিতে। এরপর ধরা পড়ে সাজার ১২ বছর পর ফিরে এসে দেখে সেই জমিতে সোনা দানা নেই। তখন থেকেই ঐ জমিতে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা মাটি খুঁড়ে ফের মাটি বুজিয়ে দিয়ে চলে যায়। এক বছর আগেও ধান পোঁতা থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটেছিল। এদিকে গুরুদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সামসুল শেখ জানান, ওই জমির কাহিনি এলাকার মানুষ জানে। যক্ষের ধন আছে বলে মাঝে মাঝেই মাটি খুঁড়ে রাখে কে বা কারা। তবে এখনও পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, খুন করে লাশ গায়েব করতে কেউ মাটির তলায় পুঁতে রেখেছিল সন্দেহে মাটি খোঁড়া হয়েছিল। যতদূর পর্যন্ত নরম মাটি ছিল ততদুর পর্যন্ত মাটি তুলে দেখা হয়েছে, মেলেনি কিছুই।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ