Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেয়ে ভাল ফল করবেই, আশাবাদী দীপার বাবা

স্টাফ রিপোর্টার: রাত পেরোলেই জন্মদিন৷ কে তাঁকে উপহার দেবে? কীই বা দেবে? Advertisement জীবনের সেরা উপহারটা নিজেই নিজেকে দিয়েছেন আগরতলার দীপা কর্মকার৷ প্রোদুনোভা ভল্টে ওলিম্পিকের মূলপর্বে এই প্রথম কোনও ভারতীয় কন্যা৷ Advertisement কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে সেই খুশির রেশ মা গৌরী কর্মকারের মুখেও৷ আগরতলায় বসে বললেন, “খুব টেনশন করছিল ও৷ আগের দিন ফোন করেই বুঝেছিলাম৷’’ […]

We couldn't sleep because of tension. Now we are very happy, hoping for the best: Dulal Karmakar, Dipa's father
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 8, 2016 3:10 pm
  • Updated:August 8, 2016 3:11 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাত পেরোলেই জন্মদিন৷ কে তাঁকে উপহার দেবে? কীই বা দেবে?

জীবনের সেরা উপহারটা নিজেই নিজেকে দিয়েছেন আগরতলার দীপা কর্মকার৷ প্রোদুনোভা ভল্টে ওলিম্পিকের মূলপর্বে এই প্রথম কোনও ভারতীয় কন্যা৷

Advertisement

কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে সেই খুশির রেশ মা গৌরী কর্মকারের মুখেও৷ আগরতলায় বসে বললেন, “খুব টেনশন করছিল ও৷ আগের দিন ফোন করেই বুঝেছিলাম৷’’ মা হয়ে মেয়েকে সাহস না জুগিয়ে থাকা যায়? “মেয়েকে বলেছি একদম টেনশন করো না৷ এতদিন যা শিখেছ সেটাই করবে৷ তারপর যা হওয়ার তাই হবে৷” হলও তাই, পেলের দেশে ‘চক দে ইন্ডিয়া’ দেখাল দীপা৷ ধনুকের মতো শরীরটা যখন শূন্যে উড়ছিল কে জানত এই পথেই ভারতের প্রথম জিমনাস্ট ঢুকে যাবে ফাইনালের মঞ্চে৷

Advertisement

পদক আনবে তো দীপা? বছর বাইশের মেয়ে এখন সারা ভারতের প্রার্থনায়৷ মন্দির, মসজিদ, গির্জায় দীপার জন্য পদক চাইছে সক্কলে৷ দীপার বাবা দুলাল কর্মকার বলছেন, “আমি খুবই আশাবাদী৷ ও টেনশনের মধ্যে বরাবরই ভাল ফল করে৷ আমার মেয়েটা দেশের জন্য পদক আনবেই৷” দীপার প্রথম কোচ সোমা নন্দী জানিয়েছেন, জীবনের ঝুঁকি থাকে এই ভল্টে৷ ডাবল সামারসল্টে কাধের উপর পুরো ভার এসে পড়ে এতে মৃত্যুও হতে পারে৷

রিও ওলিম্পিকে যখন ফাইনাল ভল্ট দিতে নামছেন দীপা, চোখ বন্ধ করে এক মুহূর্তে মনে হচ্ছিল যেন দিল্লির সেই স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার’ মাঠ৷ ‘ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া’ চিৎকারে কান পাতা দায়৷ তেরঙ্গা পতাকায় দীপাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন দর্শকরা৷ ভল্টে ১৪.৮৫০ স্কোর করে দীপা যখন সোজা হয়ে দাঁড়ালেন স্কোরকার্ড বলছিল ভল্টে ব্যক্তিগতভাবে ষষ্ঠ স্হান তাঁর৷ সবমিলিয়ে ২৭ নম্বর স্হানে৷ তারপর পাঁচ ঘণ্টার রুশ্বাস অপেক্ষা৷ সেরা আটই যে কেবল যাবে ফাইনালে৷ ফাইনালে যেতেই আগরতলার বাড়িতে কোমর দুলিয়ে খানিক নেচেই নিলেন দুলাল কর্মকার৷ মেয়ের সাফল্যে বাধনহারা উচ্ছ্বাস দুলালবাবুর৷ “সব আনন্দ মুখে বলে বোঝানো যায় না৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ