স্টাফ রিপোর্টার: জাল মার্কশিট, শংসাপত্রের রমরমা বন্ধে ‘ডিজিটাইজড’ এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ কাগজের বদলে এবার থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ডিজিটাল মার্কশিট ও শংসাপত্র৷ ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা সংসদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছে উচ্চশিক্ষা দফতর৷ দ্রুত এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ রবিবার আশুতোষ কলেজের শতবার্ষিকী পূরণের সমাপ্তি অনু্ষ্ঠানে এসে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় একথা ঘোষণা করেন৷
তাঁর কথায়, এ রাজ্যে জাল মার্কশিট কিংবা শংসাপত্র সেভাবে তৈরির অভিযোগ নেই৷ তবে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে প্রায়শই এমন অভিযোগ শোনা যায়৷ প্রচুর টাকার বিনিময়ে বহু চক্র জাল মার্কশিট তৈরির কাজ করে৷ এধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর এ রাজ্য৷ মার্কশিট বা শংসাপত্র কেউ বা কারা যাতে জাল না করতে পারে সে কারণেই তা ডিজিটাল আকারে প্রকাশ করতে চাইছে সরকার৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ ধরনের মার্কশিট ও শংসাপত্রের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে৷ প্রথমত, এগুলি কোনওদিন হারিয়ে যাবে না৷ দ্বিতীয়ত, জাল করা সম্ভব হবে না৷ তৃতীয়ত, স্থায়িত্ব বেশি দিনের৷ চতুর্থত, কখনও নষ্ট হবে না৷ পঞ্চমত, এগুলি সংরক্ষণ করা সুবিধাজনক৷
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তাঁর মতে, ডিজিটাল মার্কশিট, শংসাপত্র দেওয়া হলে তা জাল করার বিষয়টি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হবে৷ এটা খুবই ভাল পদক্ষেপ৷ এ রাজ্যে যদিও মার্কশিট বা শংসাপত্র সেভাবে জাল হয় না৷ কিন্তু বাইরের রাজ্য থেকে বহু পড়ুয়া জাল মার্কশিট নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতে আসে৷
পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরি বলেন, ‘‘যেকোনও উপায়ে জাল মার্কশিট, শংসাপত্রের রমরমা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন৷ ডিজিটাল মার্কশিট, শংসাপত্র হলে এই দুর্নীতি অনেকটাই রোখা যাবে৷ সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়৷’’উচ্চশিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা মনে করছেন, এতে শুধু মার্কশিট বা শংসাপত্র জাল হওয়া আটকানো যাবে, তা নয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ডিজিটাল মার্কশিট আজীবন সংরক্ষণ করা সুবিধাজনক৷ মার্কশিট, শংসাপত্র হারিয়ে ফেলারও কোনও প্রশ্ন নেই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.