Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধানের তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রাজ্যের

অন্যদিকে রেশন দোকানগুলির উপর নজরদারি আরও কড়াকড়ি করতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷

West Bengal government thought of generating electricity from husk
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 10, 2016 11:04 am
  • Updated:October 10, 2016 11:06 am

রাহুল চক্রবর্তী: ধানের তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ খাদ্য দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে৷ ইতিমধ্যে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা এ বিষয়ে একাধিক বৈঠকও করেছেন৷ বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, ধান ছাঁটার পর যে তুষ পরে থাকে তার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব৷ এই তুষ বেশির ভাগ সময়ই তেল উৎপাদনের জন্যই ব্যবহৃত হত৷

Advertisement

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, এই বিষয়ে একপ্রস্থ ভাবনাচিন্তা হয়েছে৷ বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে এ বিষয়ে শীঘ্রই আলোচনায় বসা হবে৷ তার পর বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ যেখান থেকে ধান ঝাড়াই করে তুষ পাওয়া যাবে, সংশ্লিষ্ট ওই গ্রামেই উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে খাদ্য দফতরের৷

Advertisement

এদিকে রেশন দোকানগুলির উপর নজরদারি আরও কড়াকড়ি করতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ তৈরি হচ্ছে ভিজিল্যান্স কমিটি৷ ১ সেপ্টেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৬’৷ গেজেটে চূড়ান্ত বিধি প্রকাশিত হওয়ার পর আগামী বিধানসভার অধিবেশনে তা পেশ করা হবে৷

২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর রেশন ব্যবস্থায়ে স্বচ্ছতা আনা ও আধুনিকীকরণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷ স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক আচমকা হানা দেয় বিভিন্ন রেশন দোকানগুলিতে৷ বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক হাজার ভুয়া রেশন কার্ড৷ এমনকী, একাধিক রেশন দোকানগুলির খাতাপত্র পর্যবেক্ষণ করে প্রচুর গরমিল পাওয়া যায়৷ সংশ্লিষ্ট রেশন দোকানগুলির বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয় খাদ্য দফতর৷

এবার আরও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়৷ গঠিত হচ্ছে চারটি কমিটি৷

ফেয়ার প্রাইস শপ ভিজিল্যান্স কমিটি বা রেশন দোকানের উপর সরাসরি নজরদারি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এই কমিটির চেয়ারম্যান পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি৷ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই কমিটিতে থাকবেন এসডিও-র মনোনীত একজন প্রধান শিক্ষক কিংবা শিক্ষক৷ কমিটির সদস্য হবেন, স্থানীয় বিধায়কের মানোনীত প্রতিনিধি৷ এ ছাড়াও থাকবেন একজন মহিলা, একজন তফসিলি জাতি-উপজাতির প্রতিনিধি, একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ৷ এঁদের মনোনিত করবেন পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে বিডিও আর পুরসভার ক্ষেত্রে এসডিও৷ এই কমিটির কাজ হবে রেশন দোকানগুলির নজরদারি চালানো৷ রেশন দোকানে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের গুণগত মান খতিয়ে দেখা৷ কোনও অভিযোগ এলে গুরুত্ব সহকারে দেখে সেগুলির নিষ্পত্তি করা৷

এছাড়াও, গঠন করা হয়েছে রাজ্যভিত্তিক ভিজিল্যান্স বা নজরদারি কমিটি ও ব্লক ভিত্তিক নজরদারি কমিটি৷

প্রসঙ্গত, রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমস্ত রাইস মিল বা ধানকলগুলি এবার চলে আসবে খাদ্য দফতরের অধীনে৷ এতদিন পর্যন্ত রাইস মিলগুলি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের অধীনে ছিল৷ যেহেতু ধান কেনা, সেখান থেকে চাল করা, গোটা বিষয়টি খাদ্য দফতর দেখে তাই এই সিদ্ধান্ত৷ রাজ্যে ১২০০ রাইস মিল রয়েছে৷ যার মধ্যে কার্যকর ভূমিকায় রয়েছে ৯৮০টি রাইস মিল৷ এই রাইস মিল বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে খাদ্য দফতরের৷

খাদ্যমন্ত্রী জানান, নতুন রাইস মিল খোলার ক্ষেত্রে আদিবাসী অর্ধ্যুষিত এলাকায় ভরতুকি দেবে সরকার৷ জঙ্গলমহল, সুন্দরবন, নদীমাত্রিক এলাকাতেও রাইস মিল খোলার জন্য ভরতুকি দেওয়া হবে৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ