সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে জোরকদমে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান৷ শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত গুলিযুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনেরও বেশি পাচারকারীর৷ অভিযানগুলিকে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে শেখ হাসিনা সরকার৷ যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, নিরীহদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যায় রাষ্ট্রশক্তির ব্যবহার করছে আওয়ামি সরকার৷
[আদরে আদরে বাদুড়ের মুক্তাঞ্চল চিড়িয়াখানা, নোটিস ঝুলিয়ে দায় সারছে কর্তৃপক্ষ]
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাজধানী ঢাকা-সহ সাতটি জেলায় অভিযান চালায় ‘ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন’ বা ব়্যাব। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এদিন কুমিল্লা কুষ্টিয়া, যশোর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সাতক্ষীরা, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও ও ব্রাহ্মণবেড়িয়া জেলায় অভিযান চালায় ব়্যাব। ডেরায় হানা দিলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পাচারকারীদের৷ প্রবল গুলিযুদ্ধে নিকেশ হয় ১০ পাচারকারী৷ এনিয়ে গত ১০ দিনে ১০০ জনের উপর সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারীকে খতম করেছে ব়্যাব। নিহতরা সবাই মাদক কেনা-বেচায় জড়িত বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অলআউট যুদ্ধে নেমেছি, তা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।”
গত সপ্তাহে ফেনি, মাগুরা, কুমিল্লা, আখাউড়া ও নারায়ণগঞ্জে মাদক পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চালাকালীন সংঘর্ষে খতম হয় বেশ কয়েকজন পাচারকারী৷ সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে কোণঠাসা পাচারকারীরা৷ সরকারের এহেন পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন অনেকেই৷ তাদের বক্তব্য, পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য ক্রমশই বাড়ছিল৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল হত্যা, ধর্ষণের মতো ঘটনাও৷ সরকারের পদক্ষেপের ফলে কিছুটা হলেও অপরাধ কমেছে৷ তবে এই এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি ও বিরোধীরা৷ তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগাতে নির্বিচারে হত্যা চালাচ্ছে সরকার৷
[‘ঈশ্বর’ই আমার মেয়েকে ধর্ষণ করল, সাজাপ্রাপ্ত আসারামের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নির্যাতিতার মা]