Advertisement
Advertisement

মাদকের বিরুদ্ধে অলআউট অভিযানে ব়্যাব, বাংলাদেশে খতম ১৫ পাচারকারী

ধৃত পাঁচ কুখ্যাত জেহাদি৷

15 more smugglers killed in Bangladesh, 5 terrorists nabbed
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 31, 2018 6:36 pm
  • Updated:July 13, 2018 1:21 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: অভিযানের পর অভিযান। ব্যস্ততার অন্ত নেই ব়্যাব হেড কোয়ার্টারসে। নির্দেশ স্পষ্ট, ‘গো অলআউট’। বাংলাদেশের জমি থেকে মুছে ফেলতে হবে জঙ্গি ও পাচারকারীদের। সেইমতোই একের পর এক জেহাদি ও পাচারকারী খতম হয়েছে এলিট বাহিনীর গুলিতে। এপর্যন্ত নিহতের তালিকায় জায়গা হয়েছে একশোরও বেশি কুখ্যাত মাদক পাচারকারীর। এবার ফের অভিযান চালিয়ে ১৫ জন পাচারকারীকে নিকেশ করল ব়্যাব।

[উপনির্বাচনে দিকে দিকে বিজেপিকে ধাক্কা, কৈরানায় জয়ী মহাজোট]

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার একাধিক সংঘর্ষে ১৫ জন মাদক পাচারকারীকে খতম করেছে ব়্যাব। এদিন নির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে রাজধানী ঢাকা-সহ সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলায় পাচারকারীদের ডেরায় হানা দেয় ব়্যাব। চলে গুলির লড়াই। তবে দেশজুড়ে প্রশংসা পেলেও এই অভিযান নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। অভিযোগ, ঘনঘন অভিযান চললেও জালে পড়েছে চুনোপুঁটিরাই। অধরা রাঘব বোয়ালরা। চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মাদক বিরোধী অভিযান। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিকেশ হয়েছে একশোরও বেশি পাচারকারী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০০ সন্দেহভাজনকে। তবে এরা সকলেই পাচারচক্রের নিচুতলার অপরাধী। পার পেয়ে গিয়েছে ড্রাগ মাফিয়ারা।

Advertisement

অন্য এক ঘটনায়, নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে পাঁচ কুখ্যাত জঙ্গি। ধৃতদের সকলেই জেহাদি সংগঠন জেএমবি-র সদস্য। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের থেকে জেহাদি বই, মোবাইল ফোন, বহু সিমকার্ড, মেমোরি কার্ড, পাসপোর্ট ও কম্পিউটার  হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে ফেনি, মাগুরা, কুমিল্লা, আখাউড়া ও নারায়ণগঞ্জে মাদক পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চালাকালীন সংঘর্ষে খতম হয় বেশ কয়েকজন পাচারকারী৷ সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে কোণঠাসা পাচারকারীরা৷ সরকারের এহেন পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন অনেকেই৷ তাদের বক্তব্য, পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য ক্রমশই বাড়ছিল৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল হত্যা, ধর্ষণের মতো ঘটনাও৷ সরকারের পদক্ষেপের ফলে কিছুটা হলেও অপরাধ কমেছে৷ তবে এই এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি ও বিরোধীরা৷ তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগাতে নির্বিচারে হত্যা চালাচ্ছে সরকার৷

[সাংবাদিকের মুখে খাবার তুলে ধরছে শিশু, উদ্বাস্তু ভূমির এই ছবিই ঝড় তুলল নেটদুনিয়ায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ