Advertisement
Advertisement
Qatar

হামলা চালাতে পারে ইরান! কাতারের সেনাঘাঁটি থেকে রাতারাতি ‘উধাও’ ৪০ মার্কিন যুদ্ধবিমান

দীর্ঘ লড়াইয়ের আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা!

American warplanes vanish from Qatar base amid Israel-Iran tensions

কাতার ঘাঁটিতে ৫ জুন ও ১৯ জুনের উপগ্রহ চিত্র।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 20, 2025 4:55 pm
  • Updated:June 20, 2025 4:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের সেনাঘাঁটি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা! ইরান হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় এবার কাতারের আল উদেইদ বায়ুসেনা ঘাঁটি খালি করল মার্কিন সেনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত দুই সপ্তাহে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্তত ৪০টি মার্কিন যুদ্ধবিমান। স্যাটেলাইট রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৫ জুন থেকে ১৯ জুন এই সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে যুদ্ধবিমানগুলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রের খবর, গত ৫ জুন আল উদেইদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে C-130 হারকিউলিস বিমান-সহ ৪০টির বেশি যুদ্ধবিমান দাঁড়িয়ে ছিল। ১৯ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায় সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে মাত্র ৩টি বিমান। এএফপির রিপোর্ট বলছে, ওই সেনা ঘাঁটি থেকে সরানো হয়েছে বিমানে জ্বালানি ভরার জন্য ব্যবহৃত ২৭টি কেসি ৪৬এ পেগাসাস বিমান ও কেসি-১৩৫ স্ট্রেটোট্যাঙ্কারস বিমান। এগুলি ১৫ থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ইউরোপে রওনা দিয়েছে। যার মধ্যে ২৫টি বিমান কাতারে ফেরেনি। পরে দুটি বিমান ইউরোপ থেকে ওই ঘাঁটিতে ফেরে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে অন্যান্য যুদ্ধবিমান।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইরান যদি আমেরিকার উপর হামলা চালায় তাহলে ইরানকে এমন জবাব দেওয়া হবে যা তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না। তবে হুঁশিয়ারি দিলেও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ইরান। গত বৃহস্পতিবার কাতারের মার্কিন দূতাবাসের তরফে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিজেদের সেনা ঘাঁটির সমস্ত কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে এতগুলি বিমান কাতার থেকে ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে কুইঙ্গিত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, যুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরার জন্য অত্যন্ত কার্যকর এই বিমানগুলি। সেগুলি যদি আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যায় পড়বে আমেরিকা। কাতার থেকে সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অর্থ, দীর্ঘ লড়াইয়ের আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন সেনার প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মার্ক শোয়ার্জ এএফপিকে বলেন, ‘ওই বায়ুসেনা ঘাঁটি ইরানের একেবারে কাছে থাকার জন্য সবার প্রথম হামলা হতে পারে ওখানে। সেক্ষেত্রে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনওরকম ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ হতে পারে।’ যদিও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে সেখানে থাকা ৪০ হাজার মার্কিন সেনাকে। অবশ্য এই যুদ্ধে আমেরিকা সরাসরি অংশ নেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানান, ”অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও পারে। দুই দিকেই যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকায়, আগামী দুই সপ্তাহের ভিতরে আমি সিদ্ধান্ত নেব যে আমি এটা করব কিনা।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement