Advertisement
Advertisement

ভারত মহাসাগরে চিনা রণতরীর উপস্থিতিতে বাড়ছে ধোঁয়াশা

ইতিমধ্যে ডোকা লা সীমান্তে চিনা আগ্রাসনে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে।

As tension rises in Sikkim, Chinese submarine prowls Indian Ocean region
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 4, 2017 10:35 am
  • Updated:July 4, 2017 10:35 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ভারত-চিন দু’দেশের সম্পর্ক। সিকিমে মুখোমুখি সেনা মোতায়েন করেছে দু’দেশই। ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম ডোকা লা সীমান্তে এত বেশি মাত্রায় সেনা পাঠানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। এর মধ্যেই ভারত মহাসাগরে দেখা মিলল চিনা ডুবোজাহাজের। যার জন্য নতুন করে ফের দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

[স্বামীর স্বপ্ন পূরণ করতে সেনায় যোগ দিলেন শহিদ-পত্নি]

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালাতে ডিজেল চালিত ইউয়ান শ্রেনির একটি ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছিল চিন। এই নিয়ে গত এক বছরে সাত বার চিনা ডুবোজাহাজকে ভারতীয় জলসীমানায় দেখা গেল। এই ধরনের ডুবোজাহাজে ভূমি থেকে আকাশে আঘাতকারী ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে দূরপাল্লার মিসাইল সবই থাকে বলে জানা গিয়েছে। উপগ্রহ মারফত ভারত মহাসাগরে চিনা ডুবোজাহাজের উপস্থিতি টের পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। এই প্রসঙ্গে নৌসেনার এক আধিকারিক বলেন, ‘গত কয়েকবছরে ওই এলাকায় আমরা নিজেদের শক্তি যথেষ্ট বাড়িয়েছি। পুরো অঞ্চলটিতেই আমাদের নজরদারি রয়েছে।’

Advertisement

[জানেন, কেন এমন চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন বুমরাহর দাদু?]

বিশেষজ্ঞদের মতে, সিকিমের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত মহাসাগরে ডুবোজাহাজ মোতায়েন করাটা চিনের নয়া চাল। ভারত মহাসাগর ও সেই সংলগ্ন অঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখতে এবং চরবৃত্তি কাজেই নিজেদের ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছে চিন। এর আগে ভারত, জাপান, আমেরিকা যখন নিজেদের মধ্যে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল, তখনও নাকি নিজেদের যুদ্ধজাহাজ থেকে নজরদারি চালিয়েছিল চিন।

Advertisement

[ক্রিকেটার হয়ে ওঠার কৃতিত্ব ঝুলনকেই দিচ্ছেন এই পাক তারকা]

সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। নতুন ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভুটান-ভারত-চিন সীমান্তে ডোকলাম মালভূমি নিয়ে। অভিযোগ, ভুটানের অংশে ঢুকে চিন রাস্তা তৈরি করছে। কাজ বন্ধ করার জন্য ভারত কড়া হুঁশিয়ারি দিতেই চিন পাল্টা দাবি করেছে, ভারতীয় সেনা তাদের এলাকায় অনধিকার প্রবেশ করেছে। তারা না সরলে ভারতের সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না। নিজেদের দাবির সত্যতা প্রমাণে কয়েকদিন আগেই চিনের বিদেশ দফতর একটি মানচিত্র প্রকাশ করে। যেখানে ডোকলাম মালভূমি সংলগ্ন অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সীমানা বাস্তবের চেয়ে আলাদা। চিনের মানচিত্রে দক্ষিণ দিকে অনেকটা অংশ নিজেদের বলে দেখানো হয়েছে। বেজিং গিমপোচি পাহাড় পর্যন্ত এলাকা বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে, ভারত বাতাং লা পর্যন্ত নিজেদের বলে জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে সহমত ভুটানও। এরপরেই ভারত-চিন দু’জনেই ওই অঞ্চলে সেনা সংখ্যা বাড়াতে শুরু করে। তারপরেই ভারত মহাসাগরে এই চিনা ডুবোজাহাজের উপস্থিতির খবর আগামীদিনে আরও উত্তেজনা ছড়াবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

[ভারতকে খুশি করতেই আমেরিকা সালাউদ্দিনকে জঙ্গি তকমা দিয়েছে: পাকিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ