সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ গ্যাংওয়ার (Gang war) জেলের ভিতরে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের এক জেলে বন্দিদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জেল প্রাঙ্গণ। ওই সংঘর্ষে অন্তত ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৮০ জন। ইকুয়েডরের ইতিহাসে এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু জেলের ভিতরে এতজন বন্দির মৃত্যুর ঘটনা গোটা বিশ্বেই প্রায় নজিরবিহীন। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৫ জনের দেহ ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুয়েরমো ল্যাসো জেলে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছেন।
কেন জেলের ভিতরে এমন রক্তস্রোত বইল? কর্তৃপক্ষের ধারণা এর পিছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক ড্রাগ চক্রের হাত। লকআপের ভিতরে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করা নিয়ে দু’টি ড্রাগ চোরাচালানকারী গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে মারপিটের সূত্রপাত। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে কয়েদিরা জেলের ভিতরে অবলীলায় গুলি চালাচ্ছে। অনেককেই জানলা দিয়ে বোমা ছুঁড়তেও দেখা যাচ্ছে। এমনকী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ জেলের ভিতরে প্রবেশ করলে তাদেরও আক্রমণ করা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশ জেলের ভিতরে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যথায় আরও কয়েদির মৃত্যু হত বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য এবছরেই কারাবন্দিদের মধ্যে দাঙ্গার আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছিল। তিনটি কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় অন্তত ৭৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বহু মানুষ। পরে জুলাই মাসেও বেশ কয়েকটি সংঘর্ষে প্রায় শ খানেক বন্দির মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সব ঘটনাকে ছাপিয়ে গেল এবারের ঘটনা। আসলে ইকুয়েডরের জেলগুলিতে সব মিলিয়ে প্রায় ২৯ হাজার বন্দি রয়েছে ৬০টি জেলে। কিন্তু সেই তুলনায় পুলিশ ও জেলকর্মীর সংখ্যা কম। তার উপর জেলগুলিতে বিপুল সংখ্যক বন্দিই ড্রাগ চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেই সব গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ লেগেই থাকে জেলগুলিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.