সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে ক্রমশ বাড়ছে সংখ্যালঘুদের উপর মৌলবাদীদের হামলার ঘটনা। জানা গিয়েছে, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর এলাকার পালানপাড়া গ্রামে সংখ্যালঘু ১২টি হিন্দু পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে তাঁদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই হামলায় শিশু ও মহিলা-সহ আহত হয়েছে ৮ জন। পেশায় জেলে ওই পরিবারগুলিকে তাঁদের ভিটে থেকে উচ্ছেদ করেছে মৌলবাদীরা। রাজধানী ঢাকার একটি সংবাদপত্রে বলা হয়, ওই গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লিগের স্থানীয় নেতা এমদাদুল হকের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী ওই অসহায় পরিবারগুলোর উপর তাণ্ডব চালিয়ে তাঁদের জমি ও বাড়ি জবরদখল করে নেয়।
[পাঠানকোটে দু’টি সন্দেহজনক ব্যাগ ঘিরে চরম আতঙ্ক]
বুধবার, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে আক্রান্তরা তাঁদের বাড়িঘর ফের-সহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিনতি রানি, বাসনা রানি-সহ একাধিক আক্রান্তরা। জঘন্য সেই ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সময় শিশু ও মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এমদাদুল হক সাড়ে ৯ বিঘা জমি নিজের দাবি করে ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই গ্রামে হামলা চালিয়ে দরিদ্র পরিবারগুলোকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে। হামলাকারীরা তাঁদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়, গৃহস্থালী জিনিসপত্রও পুড়িয়ে দেয় তারা। একটি মন্দিরেও হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা পালানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং চারপাশে কাটা তাঁর দিয়ে ঘিরে রাখে।
[সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন? জানেন, কী ক্ষতি হচ্ছে আপনার ত্বকের?]
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকটাই পিছু হঠেছে জামাত-সহ বেশ কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামি লিগ সরকারের কড়া মনোভাবে কোণঠাসা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি এবার সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে অত্যাচার চালানোর দোষে বেশ কয়েকজন জামাত নেতার ফাঁসি হওয়ার পর থেকেই দেশের সিলেট, ঢাকা-সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
[ট্র্যাডিশনাল সাজে জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চ মাতালেন সোনম]