সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথায় একটা বল নিয়ে খেলবে বা নিদেনপক্ষে গাছের ফল-টল, তা নয়! পোল্যান্ডের চিড়িয়াখানার ভল্লুক কি না শেষে খুঁজে-পেতে বার করল একটা গ্রেনেড! তাও আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমসাময়িক!
শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই সম্প্রতি ঘটেছে পোল্যান্ডের পোজনানের চিড়িয়াখানায়। আম-আদমি যেরকম খবরটা শুনে চোখ কপালে তুলবেন, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সেটাই হয়েছে!
চিড়িয়াখানার তরফে জানিয়েছেন মালগোরজাটা চোদিলা, ঘটনাটা জানাজানি হতেই তাঁদের শিরদাঁড়া বেয়ে হিমেল স্রোত বয়ে যায়! ইউকা নামের ওই মাদি ভল্লুকটি এমনিতে বেশ শান্তশিষ্টই! কোনও কিছু নিয়েই সে কোনও দিন বিপাকে ফেলেনি চিড়িয়াখানার লোকজনকে। আর, শেষে কি না সেই এমন একটা কাণ্ড ঘটাল!
অবশ্য, ইউকারই বা দোষ কী! সে বেচারি তো আর জানে না যে ওটা আদতে এক বিস্ফোরক! চিড়িয়াখানার যে অংশে তাকে ঘিরে রাখা হয়েছিল, খেলাচ্ছলে সেখানকার মাটি খুঁড়তে খুঁড়তেই গ্রেনেডটা পেয়ে যায় সে! তার পর আর তার ফূর্তি দেখে কে! সে তো ভেবেছে এটা কোনও নতুন খেলনা! এমনটাও ভেবে থাকতে পারে, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যই ওটা লুকিয়ে রেখেছে!
ফলে, বর্ডার ভিজিটিং অফিসাররা ব্যাপারটা আবিষ্কার করার পরে যখন ওটা তার কাছ থেকে আদায় করতে যান, তখনই বাধে বিপত্তি! ইউকা তো তার সাধের খেলনা কিছুতেই হাতছাড়া করবে না! ও দিকে গ্রেনেডটা ফেটে যাওয়ার ভয়ে সবাই থরহরি কম্পমান!
শেষ পর্যন্ত তাই খবর দিতে হয় আর্মিকে। তারা এসে পুরো চিড়িয়াখানা ফাঁকা করে ফেলেন! এবং, বিস্তর কসরত করে ইউকার হাত থেকে উদ্ধার করেন গ্রেনেডটাকে। এবং, এক ঝলক দেখেই বুঝতে পারেন তাঁরা, ওটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমসাময়িক!
তার পর আর ওটাকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে কত সময় লাগে!
তবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গ্রেনেড ওই জায়গায় এল কী করে, তাই নিয়েই এখন ধন্দে রয়েছে আর্মি! যাই হোক, ইউকা তো বটেই, বাকিরাও যে অক্ষতই আছে- এটাই তাদের একমাত্র সান্ত্বনা!