Advertisement
Advertisement

ব্রেক্সিট জট খুলতে বিরোধী নেতা করবিনের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী জনসনের

৩১ অক্টোবরের মধ্যেই EU ছাড়তে চাইছেন বরিস।

Boris Johnson meets Jeremy Corbyn to discuss Brexit
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 24, 2019 10:25 am
  • Updated:October 24, 2019 10:25 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণ হোক বা না হোক, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আর বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিনের দেখা হওয়ারই ছিল। এবং সেটা হলও। বুধবার সকালে অবশেষে মুখোমুখি হলেন দুই নেতা। তবে নেতাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা এখনই পরিষ্কার করে কেউ বলতে পারছেন না।

মঙ্গলবার সন্ধেবেলা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বরিস তাঁর ১১০ পাতার ‘উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্ট বিল’ পেশ করেন। এই বিলই আসলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি, যা ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মেনেও নিয়েছে। দীর্ঘ বিলটির কপি সব ব্রিটিশ এমপিকে দেওয়া হয়। তবে বিলটি নিয়ে পার্লামেন্টে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। বুধবর প্রথম ভোটটি হয় এই বিল নিয়েই। ‘মতাদর্শগত ভাবে’ (কোনও আলোচনার আগেই) বরিসের বিল মেনে নেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি। বরিসের পক্ষে ভোট পড়ে ৩২৯, আর বিপক্ষে ২৯৯টি। ভোটের ফলে খুশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই প্রথম ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট নিয়ে একটা স্পষ্ট অবস্থান নিল।’’ তবে তার পরও ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটেনি। ব্রেক্সিট নিয়ে এতটা কঠিন জনসনকে অনেকেই দেখেননি। কারণ, তিনি তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। সেটা এমপিরা কেউ মেনে নেননি। বরিস বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ৩১ অক্টোবরের সময়সীমা তিনি পার করতে চাইছেন না। এই ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করেই বরিস জনসন ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাই জনসনের কাছ থেকে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি।

Advertisement

উল্লেখ্য, আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরী করার মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। হতে সময় নেই বললেই চলে। এহেন পরিস্থিতিতে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথেই হাঁটছিল ব্রিটেন। যে কোনওভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে মরিয়া কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান জনসন। আসলে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে গোড়া থেকেই বেশ নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জই ছিল এই ব্রেক্সিট। যার জন্যে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’কে পদত্যাগ করতে হয়। এবং ব্রেক্সিটপন্থী হিসেবে ব্রিটেনের শাসনভার তুলে নেন লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র বরিস জনসন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বারবার ব্রেক্সিট চুক্তি পেশ হওয়ার কথা থাকলেও, বিরোধীদের চাপে তা বারবারই পিছিয়ে যাচ্ছিল। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকার সময়সীমাও পিছোচ্ছিল। শেষ সময়সীমা দেওয়া হয় ৩১ অক্টোবর। আর বরিস জনসন তার মধ্যেই একটা চূড়ান্ত মীমাংসা করার সংকল্প নিয়ে ফেলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আত্মঘাতী বোমায় মোদিকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পাক অভিনেত্রীর, ভাইরাল ছবি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ