Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলায় ২২৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিট

১৫টি মন্দির, শতাধিক ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

Charge sheet against 228 submitted for attacking Hindus

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 10, 2017 3:02 pm
  • Updated:July 13, 2018 1:41 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু মন্দির ও বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার মামলায় ২২৮ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। রবিবার এই চার্জশিট আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।

[কিমের ক্ষেপণাস্ত্র থামানোর মহড়ায় নামল আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া]

পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, কিছু ত্রুটি থাকায় এবং ব্রিফ তৈরি করতে দেরি হওয়ায় এদিন বিচারকের সামনে চার্জশিট পেশ না করা গেলেও আগামী দুই দিনের মধ্যে তা আদালতে দাখিল করা হবে। নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামে এক যুবকের ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ২০১৬-র ২৯ অক্টোবর অভিযুক্ত যুবককে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু ৩০ অক্টোবর এলাকায় পৃথক দু’টি সমাবেশ থেকে ১৫টি মন্দির, শতাধিক ঘরবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয় ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর ৪ নভেম্বর ভোরে ও ১৩ নভেম্বর ভোরে আবার উপজেলা সদরে হিন্দুদের অন্তত ছয়টি ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনায় নাসিরনগর থানায় মোট আটটি মামলা দায়ের করা হয়। বাকি সাতটি মামলার তদন্ত এখনও চলছে।

Advertisement

hindu

Advertisement

 

শাসকদল জেলা আওয়ামি লিগের দলীয় বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলতে এই হামলা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিকে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নাসিরনগর থানার ওসি আবু জাফর জানান, মামলার দীর্ঘ তদন্তে আওয়ামি লিগ নেতা, বিএনপি নেতা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া আটটি মামলার মধ্যে গৌর মন্দিরে হামলার মামলাটির তদন্ত শেষ হয়েছে। গৌর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

[ট্রাম্পের ঘোষণাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেরুজালেমের স্বীকৃতি খারিজ রাষ্ট্রসংঘে]

মামলাটির দীর্ঘ তদন্তের পর ২২৮ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের কয়েকজন হলেন নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামি লিগের সহ প্রচার সম্পাদক মহম্মদ আবুল হাসেম, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামি লিগ সভাপতি ফারুক মিয়া, চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামি লিগ সভাপতি সুরুজ আলি, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আব্দুল হান্নান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম চকদার প্রমুখ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মহম্মদ মিজানুর রহমান জানান, তাণ্ডবের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে চার্জশিট এখন চূড়ান্ত হয়ে কোর্ট পরিদর্শকের কাছে রয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করা হবে।

[এখনও বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা, তথ্য দিল রাষ্ট্রসংঘ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ