BREAKING NEWS

১৭ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ১ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ফের ড্রাগনের নিশানায় উত্তর-পূর্ব ভারত, বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে বেজিং

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: September 16, 2017 3:48 am|    Updated: September 16, 2017 3:49 am

China opposes foreign investment in 'disputed' North East

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সুর চড়াল ‘ড্রাগন’। এবার ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বেজিংয়ের। অরুণাচল প্রদেশ-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘বিতর্কিত’ ভূখণ্ডে বিদেশি লগ্নি কখনওই মেনে নেওয়া হবে না। শুক্রবার এমনটাই হুমকি দিল চিনা বিদেশমন্ত্রক।

[বুলেট ট্রেনের গতিতে উন্নয়ন হবে দেশে, একসুর মোদি-আবের গলায়]

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ডোকলাম ইস্যুতে কূটনৈতিক স্তরে পরাজিত হয়েছে চিন। তাই ফের সীমান্ত সংঘাত উসকে ভারতের উপর চাপ বজায় রাখতে চাইছে বেজিং। এদিন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং জানান, ‘ভারত-চিনের সীমানা সংঘাতে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। এছাড়াও অরুণাচল ও অন্যান্য বিতর্কিত ভূখণ্ডে বিদেশি বিনিয়োগ কাম্য নয়। ওই অঞ্চলে এখনও দুই দেশের সীমানা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তাই বিতর্কিত অঞ্চলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।” এদিন নয়াদিল্লির ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ বিরুদ্ধেও প্রচ্ছন্ন হুমকির সুর শোনা যায় চিনা মুখপাত্রের গলায়। তিনি বলেন, “‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র অন্তর্গত পদক্ষেপ করার আগে দিল্লির জানা উচিত, যে এখনও ভারত-চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা মেটেনি। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের পথে হাঁটছি আমরা। এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয় কোনও পক্ষের নাক গলানো উচিত নয়।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভারতের বিনিয়োগের সম্ভার নিয়ে আসেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের আর্থিক সাহায্যে আহমেদাবাদে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেনের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আবে। শুধু তাই নয় দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে জাপানি সংস্থাগুলির বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। তবে শুধু বাণিজ্যিক আদানপ্রদানই নয়, মোদি-আবের উষ্ণ সম্পর্কে নিহিত রয়েছে কৌশলগত দূরদর্শীতাও। ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে নয়াদিল্লি-টোকিও কাছে আসা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিকমহল। ‘ড্রাগন’কে ঘিরে ফেলে এশিয়া মহাদেশে তার প্রভাব খর্ব করতেই টোকিও-দিল্লি হাত মিলিয়েছে বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। আর এতেই অশনি সংকেত দেখছে চিন। তাই সীমা বিবাদ উসকে দিল্লিকে প্রছন্ন হুমকি দিল বেজিং বলেই মনে করা হচ্ছে।

[ভারতের কাছে মাথা নত ড্রাগনের, ডোকলাম নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত লালফৌজ]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে