সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের হামলায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। এই মহামারির প্রকোপে বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে এহেন পরিস্থিতিতেও রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠবে না করোনা। সঠিক সময়েই হাতে আসবে ওই অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। এমনটাই জানিয়েছেন মস্কোয় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বি ভেঙ্কটেশ বর্মা।
[আরও পড়ুন: টার্গেটে রয়েছে বায়ুসেনা ঘাঁটি! এস-৪০০ মিসাইল আতঙ্কে ভুগছে পাকিস্তান]
শনিবার রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্মা বলেন, “করোনা মহামারীর সঙ্গে অস্ত্র সরবরাহের কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে আমার মনে হয়না। কয়েক সপ্তাহের জন্য শুধুমাত্র সময় এদিক ওদিক হতে পারে। তবে চুক্তির সময়সীমা মেনেই ভারতের হাতে এস-৪০০ চলে আসবে বলেই আমি মনে করি।” পাশাপাশি অন্যান্য সামরিক চুক্তির ক্ষেত্রেও করোনা প্রভাব ফেলবে না বলে তিনি জানান। পাঁচটি অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্রয় করতে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মস্কোর সঙ্গে ৫৪৩ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছিল দিল্লি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ফেডারেল সার্ভিস অফ মিলিটারি টেকনিক্যাল কার্পোরেশন অফ রাশিয়া’র ডেপুটি ডিরেক্টর ভ্লাদিমির দ্রঝভ জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যেই প্রথম এস-৪০০ সিস্টেম হাতে পাবে ভারত। ২০২৫ সালের মধ্যেই পাঁচটি ‘সার্ফেস-টু-এয়ার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট’ ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাবে ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই রাশিয়ার থেকে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল আমেরিকা।
উল্লেখ্য, ভারতের আকাশকে অভেদ্য করে তুলতে অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। ভূমি থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০কে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বলে মনে করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করে চিন। তারপরই প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পড়শিদের বাগে আনতে প্রয়োজন এস-৪০০। পাকিস্তানের কাছে প্রায় ২০ স্কোয়াড্রন মার্কিন এফ-১৬ বিমান রয়েছে। চিনের থেকেও বিপদের আশঙ্কা দিন-দিন বাড়ছে। ফলে দেশের সুরক্ষায় এই হাতিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।