সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন একদিনে সর্বাধিক ২৫০০-এর মতো মৃত্যু দেখেছে আমেরিকা। শুক্রবার সেই রেকর্ডকেও ভেঙে দিল করোনার ছোবল। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে মার্কিন মুলুকে। লাশের স্তূপে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মার্কিনিরা। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে।
ইতিমধ্যেই মৃত্যুমিছিলের জেরে নিউ ইয়র্কে ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। কারণ, শুধুমাত্র এই শহরেই ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকায় এখন করোনার ভরকেন্দ্র হল হাডসন নদীর পাড়ের শহর। কিন্তু ২৪ ঘন্টায় আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা এভাবে লাফিয়ে বাড়বে তা বিশেষজ্ঞরাও আশঙ্কা করেননি। এতদিনের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান। পরিস্থিতি কিছুতেই বাগে আসছে না প্রশাসনের। এই অবস্থায় হোয়াইট হাউজ নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বাণিজ্য ও অন্যান্য পরিষেবা ধাপে ধাপে শুরু করতে চাইছে ওয়াশিংটন। তবে একমাত্র যেখানে সবচেয়ে বেশি টেস্ট হচ্ছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা কমছে সেখানেই সবকিছু স্বাভাবিক করা হবে।
[আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলসের অভুক্তদের পাশে হ্যারি-মেগান, বিতরণ করলেন খাবার]
উল্লেখ্য, এশীয় কোনও দেশ থেকে নয়, গত দু’-তিন মাসে ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে আসা পর্যটকদের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। সদ্য, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়। নিউ ইয়র্কের একদল গবেষকের মতে, মাত্র দু’সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে এতটা সংক্রমণ হতে পারে না। দু’তিন মাস ধরে করোনা ছিল। কিন্তু সেভাবে প্রকাশ পায়নি। এবার ঠিকমতো পরীক্ষা চালু করতেই আসল সত্যিটা বেরিয়ে এসেছে। মার্কিন গবেষকরা বলেছেন, ইটালি ও স্পেনের অবস্থা দেখলেই নিউ ইয়র্কের ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে শক্তিধর আমেরিকা যে করোনার কাছে জবুথবু তা স্পষ্ট। সেখানেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।