Advertisement
Advertisement

Breaking News

সাপ বা বাদুড় নয়, করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে লুপ্তপ্রায় প্যাঙ্গোলিন!

চিনে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এই প্রাণীর মাংস ও আঁশ ব্যবহার হয়।

Did pangolins spread the China coronavirus, know the facts
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 8, 2020 12:23 pm
  • Updated:February 8, 2020 12:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাপ, বাদুড় থেকে সামুদ্রিক মাছ। এতদিন এদেরই মারণ করোনা ভাইরাসের বাহক বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এবার প্রকাশ্যে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার গবেষকদের সন্দেহের শীর্ষে লুপ্তপ্রায় প্যাঙ্গোলিন বা বনরুই।

সদ্য, করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে নেচার পত্রিকায়। সেখানে বলা হয়েছে, চিনের ইউহান থেকে ছড়িয়ে পড়া যে করোনা ভাইরাসে কয়েকশো জনের মৃত্যু হয়েছে, সেটির আরএনএ বিন্যাসের সঙ্গে প্যাঙ্গোলিনের শরীরে পাওয়া করোনা ভাইরাসের বিন্যাসের ৯৯ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গুয়াংজু প্রদেশের ‘সাউথ চায়না এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা। গায়ে আঁশযুক্ত একমাত্র স্তন্যপ্রায়ী প্রাণী বনরুইবিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া প্রাণী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জঙ্গল থেকেও এই প্রাণীটি পাকড়াও করে চিন, নেপাল ও হংকংয়ে পচার করা হয়। চিন ও ভিয়েতনামে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় পিপীলিকাভুক এই প্রাণীর মাংস ও আঁশ ব্যবহার করা হয়।

Advertisement

মারণ ভাইরাসটির বাহক হিসেবে গোড়ার দিকে সাপ, বাদুড় ও ভোঁদড়ের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য ছিল, সাপকে ‘হোস্ট’ বা বাহক হিসেবেই ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস। কিন্তু এবার প্যাঙ্গোলিনের কথা সামনে আসায় আরও বেড়েছে উদ্বেগ। উল্লেখ্য, সি ফুডের পাশাপাশি চিনে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীর বড় মার্কেট রয়েছে। সম্প্রতি সেই বাজার বন্ধ করে দিয়েছে চিন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সেইসঙ্গে আরও অনেক কঠোর পদক্ষেপও করা হয়েছে। এ ভাইরাস কী ভাবে মানুষের শরীরে ঢুকেছে, তা-ও স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।   

Advertisement

ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের আক্রমণে এপর্যন্ত প্রায় ৬৩০ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিন। সরকারি পরিসংখ্যান মতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ১৬১ জন। তবে সরকারের দাবির ঠিক উলটো নিজেদের ওয়েবপেজ ‘এপিডেমিক সিচুয়েশন ট্র্যাকার’-এ বহুজাতিক সংস্থা ‘Tencent’ জানায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৪ হাজার ৫৮৯ জন মানুষের। আক্রান্ত প্রায় ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৩ জন। এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৬৯ জন রোগী চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। তারপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে অবস্থান পালটে নিজেদের তথ্য সরিয়ে সরকারি পরিসংখ্যানই ওয়েবপেজে তুলে ধরে সংস্থাটি।    

[আরও পড়ুন: করোনার বলি মারণ ভাইরাস শনাক্তকারী চিকিৎসক, উদ্বেগে চিনা স্বাস্থ্যমহল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ