Advertisement
Advertisement

Breaking News

Donald Trump

জো বিডেনের প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না, টুইট ট্রাম্পের

২০ জানুয়ারি থেকে হোয়াইট হাউসের রাশ ধরতে চলেছেন বিডেন।

Donald Trump says that He will not going to the Inauguration on January 20th | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:January 8, 2021 10:07 pm
  • Updated:January 8, 2021 10:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump)। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন মুলুকের নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বিডেন (Joe Biden)। তবে ওই অনুষ্ঠানে যাবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার টুইট করে এমনটাই জানালেন তিনি। এর অর্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন আরও একটি রীতি ভাঙতে চলেছেন তিনি। কারণ এখনও পর্যন্ত প্রত্য়েক বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তাঁদের উত্তরসূরীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন।

চলতি বছরে করোনা আবহেই মার্কিন মুলুকে আয়োজিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যেখানে বিডেনের কাছে হেরে গিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু হারের পর থেকেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী মাঝে হোয়াইট হাউস না ছাড়ার হুমকিও দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর আরও কোনঠাসা বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তাই বিডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে ইতিমধ্যে সায় দিয়েছেন। এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প? সেই প্রশ্নেরই উত্তর টুইটে দিয়ে দিলেন তিনি। লিখলেন, ”যাঁরা প্রশ্ন করছেন, তাঁদের জানিয়ে রাখি আগামী ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না।”

Advertisement

 

Advertisement

[আরও পড়ুন: আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে নীরব মোদির, দেশে ফেরার আরজি খারিজের আবেদন আইনজীবীর]

এদিকে, সূত্রের খবর প্রেসিডেন্ট থাকতে থাকতেই ট্রাম্প নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ খারিজ করে দিতে চান। যে প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘সেলফ পার্ডন’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শীঘ্রই এই প্রক্রিয়া ঘোষণা করতে পারেন। ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউসের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে নাকি এসব নিয়ে আলোচনা করে ফেলেছেন তিনি। ‘সেলফ পার্ডন’ (Self-Pardon) ঘোষণা করলে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের আইনি তদন্ত করতে পারবে না পরবর্তী সরকার। আসলে, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ধরাশায়ী হলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের হাতে রয়েছ ‘পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি’। অর্থাৎ কারও সাজা মাফ করে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা।

আর এর ফলেই ক্ষমা প্রার্থনার হিড়িক পড়েছে হোয়াইট হাউসের (White House) দরবারে। এই তালিকায় বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তা বলে নিজেই নিজের সব অপরাধ ক্ষমা! ইতিহাস বলছে, এর আগে আর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমনটা করেননি। আর মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তিই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ক্ষেত্রে নিজেই বিচারকের আসনে বসতে পারেন না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। কিন্তু মার্কিন সংবিধানে ‘পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি’র এক্তিয়ার স্পষ্ট করা নেই। সেক্ষেত্রে আইনি ফাঁকফোকর দিয়ে এই সুবিধা পেলেও পেয়ে যেতে পারেন ট্রাম্প।

[আরও পড়ুন: বালি দ্বীপে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ইসলামিক ধর্মপ্রচারককে মুক্তি দিল ইন্দোনেশিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ