Advertisement
Advertisement

Breaking News

দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বরদাস্ত নয়, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

কাশ্মীর নিয়ে মুসলিম গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা...

Don’t interfere in internal matters, India tells OIC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 16, 2017 7:49 am
  • Updated:September 16, 2017 7:49 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কারও মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না, রাষ্ট্রসংঘে স্পষ্ট করে জানাল ভারত। ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন’ বা OIC-কে নিশানা করে এই তোপ দাগল নয়াদিল্লি। ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের সম্মিলিত এই গোষ্ঠীটি কাশ্মীর নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বলে দাবি ভারতের। ওই গোষ্ঠীর বিবৃতিকে হাতিয়ার করে পাকিস্তান। আর এতেই চটেছে ভারত। OIC-কে সতর্ক করে ভারত জানিয়েছে, না জেনে কাশ্মীর নিয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুক মুসলিম গোষ্ঠীটি।

[ফের ড্রাগনের নিশানায় উত্তর-পূর্ব ভারত, বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে বেজিং]

রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সুমিত শেঠ তাঁর প্রতিবাদে জানান, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কোনও অবস্থাতেই বা কারও প্ররোচনায় যেন উপত্যকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়। জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয় মুসলিম দেশগুলির গোষ্ঠীটি। তাদের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সমালোচনা করতে যায় পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের অনড় অবস্থানে শেষ পর্যন্ত ফের পাকিস্তানেরই মুখ পুড়ল বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। পাক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ অভিযোগ করেন, ‘বিপ্লবী’ বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করেছে ভারত। কিন্তু ভারত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানায়, বুরহান একজন প্রভাবশালী ও শীর্ষ হিজবুল কমান্ডার। তাকে নিকেশ করে আদতে উপত্যকা থেকে পাক জঙ্গিদের শিকড় উপরে ফেলার প্রক্রিয়াই শুরু করেছে ভারতীয় সেনা।

Advertisement


OIC-র বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রসংঘে ভারতে জানিয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না কাউকে। ওই মুসলিম গোষ্ঠীর কোনও এক্তিয়ার নেই ভারতের বিষয়ে কথা বলার। ভবিষ্যতে যেন এই ভুল দ্বিতীয়বার না করে কেউ। এক বিবৃতি জারি করে ভারতের অনড় মনোভাব ব্যক্ত করেছে বিদেশমন্ত্রক। গত এপ্রিল মাসেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে একের পর এক ভারতবিরোধী মন্তব্য করে OIC। ওই সংগঠনেরই অংশ পাকিস্তান। গোষ্ঠীটির নীতিই হল, পাকিস্তানের মতো মুসলিম রাষ্ট্রকে সমর্থন করা। এই প্রথম নয়, এর আগে গত মে মাসে OIC-র এক বৈঠকে রাষ্ট্রসংঘের সচিব জেনারেল অ্যান্টনিও গাটার্সের উপস্থিতিতে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ আনওয়ার ওই প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেন। সেবারও ওই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ভারতের এস শ্রীনিবাস প্রসাদ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ