Advertisement
Advertisement

Breaking News

Afghanistan

তালিব জমানায় কাবুলে থাকাই কাল, দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন প্রাক্তন সাংসদ

হামলায় সাংসদের দেহরক্ষীও নিহত।

Ex-Afghan woman lawmaker shot dead at her house | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:January 16, 2023 7:20 pm
  • Updated:January 16, 2023 7:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিব জমানায় কাবুলে থাকাই কাল হল। আফগানিস্তানের (Afghanistan) এক প্রাক্তন মহিলা সাংসদকে গুলি করে মারল দুষ্কৃতীরা। কাবুলে নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর এক দেহরক্ষীরও। জখম হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদের ভাই-সহ আরও দু’জন। তালিবান পুলিশের বক্তব্য, কেন হত্যা করা হল ওই সাংসদকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

খুন হওয়া আফগানিস্তানের প্রাক্তন সাংসদের নাম মুরসাল নাবিজদার। তিনি দেশের আইনসভার প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে দায়িত্বভার পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের আগস্টে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর সরে দাঁড়িয়েছিলেন। বিষয়টি যে বাধ্যতামূলক ছিল তা বলা বাহুল্য। যদিও কাবুল শহর ছাড়েননি। সেই কারণেই কি মরতে হল? পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যরাতে হামলা হয় ৩২ বছর বয়সি মুরসালের উপরে। প্রাক্তন সাংসদের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে হামলাকারীরা। তাতেই মৃত্যু হয় সাংসদ ও তাঁর দেহরক্ষীর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতের ৪০% সম্পত্তিই আদানি-আম্বানিদের, প্রকাশ্যে আর্থিক বৈষম্যের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই হামলায় জখম হয়েছেন মুরসালের ভাই ও আরেক জন দেহরক্ষী। তাঁরা সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন। তবে মুরসালের মৃত্যু নিশ্চিত করেই পলাতক হয় দুষ্কৃতীরা। কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কারা দায়ী বা ঠিক কী কারণে খুন করা হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদকে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দ্রুত এই বিষয়ে জানা যাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছেলে হওয়ায় পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো, বিমান দুর্ঘটনায় ফেরা হল না উত্তরপ্রদেশের সোনুর]

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে মহিলাদের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু তাতে যে তালিব শাসকদের কিছু যায় আসে না, তা সম্প্রতি স্পষ্ট করেছে তারা। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে পরিষ্কার জানাল, নারীর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা অগ্রাধিকার নয় তাদের। যা থেকে পরিষ্কার, মেয়েদের স্বাধীনতা দিতে রাজি নয় জেহাদিরা। আফগান সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তালিবান মুখপাত্রকে বলতে শোনা যায়, ”ইসলামিক শরিয়তের উপরে নির্ভর করেই ইসলামিক শাসন জারি থাকবে। ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে নারীর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করাটা কখনওই অগ্রাধিকার নয়।” মুরসালকে সরিয়ে দেওয়া একজন নারীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ