Advertisement
Advertisement

Breaking News

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নওয়াজ শরিফ, চিকিৎসকের টুইটে চরমে জল্পনা

লাহোরের সার্ভিস হাসপাতালে ভরতি নওয়াজ।

Ex Pak PM Nawaz Sharif's condition deteriorates, says doctor
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 30, 2019 9:36 am
  • Updated:October 30, 2019 9:36 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের অবস্থা অত‌্যন্ত আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার টুইট করে এ খবর জানিয়েছেন তাঁর ব‌্যক্তিগত চিকিৎসক। দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরই জামিন দিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্যের কারণেই অনির্দিষ্ট সময়সীমার জন‌্য নওয়াজের জামিন মঞ্জুর করে লাহোর ও ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। এরপর দ্রুত তাঁকে লাহোরের সার্ভিস হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শোনা গিয়েছিল, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও চিকিৎসকদের একটি মহলের দাবি, শরিফের অ‌্যানজাইনার ব‌্যথা উঠেছিল। আর একটি দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার তাঁর সম্পর্কে রায় দেওয়ার কথা ইসলামাবাদ হাই কোর্টের। তবে ‘স্টপ লিস্ট’-এ শরিফের নাম এখনও রয়েছে। অর্থাৎ তিনি কোনওভাবেই দেশ ছেড়ে বেরতে পারবেন না। ঠিক কী অবস্থায় রয়েছেন শরিফ? মঙ্গলবার তাঁর ব‌্যক্তিগত চিকিৎসক আদনান খান টুইট করে জানান, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শরিফের অবস্থা অত‌্যন্ত সংকটজনক। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে প্রবল লড়াই চালাচ্ছেন। থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (প্লেটলেট দ্রুত কমে যাওয়া) এবং এনএসটিইএমই (হৃদরোগ) তো রয়েইছে। তার সঙ্গে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপের সমস‌্যাও রয়েছে।’

Advertisement

৬৯ বছরের এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ‘পাঞ্জাবের সিংহ’ নামে পরিচিত। পাক পাঞ্জাব প্রদেশের অবিংসবাদী নেতা শরিফ। গত সপ্তাহে জেলবন্দি অবস্থাতেই তাঁর প্লেটলেট মাত্র দু’হাজারে নেমে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্লেটলেট ৪৫ হাজারে উঠলেও রবিবার ফের ২৫ হাজারে নেমে এসেছে। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালে তাঁকে আজীবনের জন‌্য রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরে ওই মামলাতেই তাঁর সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শরিফের দাবি, দেশের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ২০১৮-য় শরিফের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রভাবশালী ব‌্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন। বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের তাতে আক্রমণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: খতম বাগদাদি, এবার ইসলামিক স্টেটের রাশ ধরল কুখ্যাত জঙ্গি ‘দ্য প্রফেসর’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ