BREAKING NEWS

১৭ চৈত্র  ১৪২৯  শনিবার ১ এপ্রিল ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

আমেরিকায় ফিরল ফ্লয়েড স্মৃতি, ‘মা গো!’ বলে পুলিশের মারে লুটিয়ে পড়লেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক

Published by: Biswadip Dey |    Posted: January 28, 2023 10:42 am|    Updated: January 28, 2023 10:43 am

Fatal beating of Tyre Nichols end with Memphis police officers kick-stomping, creates controversy। Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরল জর্জ ফ্লয়েড (George Floyd) স্মৃতি। আমেরিকার (US) টেনেসি প্রদেশের মেমফিসে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পাঁচজন প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ২৯ বছর বয়সি টায়ার নিকোলাসকে ৭ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের তিনদিন পর তিনি মারা যান। প্রাক্তন পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা তাদারিয়াস বেন, ডেমেট্রিয়াস হ্যালি, ডেসমন্ড মিলস জুনিয়র, এমিট মার্টিন তৃতীয় ও জাস্টিন স্মিথ। হেফাজতে রাখা হয়েছে এঁদের।

যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নিকোলাস মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তাঁকে অন্তত তিনবার ”মা গো!” বলে কাতরে উঠতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর মুখে লাথি ও ঘুষি পড়া বন্ধ হয়নি। গত ১০ জানুয়ারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে নিকোলাসের। সবচেয়ে দীর্ঘ যে চারটি ভিডিও পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিতে দেখা যাচ্ছে, কীরকম অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছে নিকোলাসের উপরে। ফ্লয়েডের মতোই তাঁরও ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন এক অফিসার। সেই অবস্থায় অন্য একজন লাগাতার লাথি মেরে যাচ্ছেন। মার খাওয়ার সময় নিকোলাসকে বলতে দেখা গিয়েছে, ”আমি কিছু করিনি। আপনারা এমন করতে পারেন না।” ভিডিও দেখে শিউরে উঠছেন সকলে। বইছে তীব্র নিন্দার ঝড়।

[আরও পড়ুন: ‘লাদাখে গণতন্ত্র নেই, আমাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে’, বিস্ফোরক দাবি সোনম ওয়াংচুকের]

প্রবল মারধরে নিকোলাসকে মাথা গুঁজে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে একজন এসে তাঁকে তুলে বসিয়ে দেন পুলিশের গাড়িতে হেলান দিয়ে। তাঁর মাথা ঝুঁকে পড়ছিল। অফিসারদের বুকে বসানো ক্যামেরা থেকেও অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে নির্যাতনের ছবি ফুটে উঠেছে।

এই তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ফিরে এসেছে জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি। ফ্লয়েডকেও একই ভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছিল পুলিশ। নিকোলাসের মা পুলিশদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ চেয়েছিল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। তাঁকে বলা হয়েছিল, তাঁর ছেলে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। কিন্তু তিনি হাতকড়া পড়তে চাইছিলেন না বলে তাঁকে মারধর করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে আমেরিকা জুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়।

[আরও পড়ুন: জিটিএ-তে ভাঙন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে বেরতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি মোর্চার]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে