সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব পাপুয়া প্রদেশে হড়পা বানে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৭৭ জনের। তার মাঝে রবিবার ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল লম্বক দ্বীপের নুসা তুঙ্গারা প্রদেশ। এই ঘটনার জেরে পাপুয়া প্রদেশে ১৪ দিনের জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।
একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৭ মিনিট নাগাদ লম্বক দ্বীপের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত নুসা তুঙ্গারা প্রদেশে ভূমিকম্প হয়। এর জেরে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি মাউন্ট রিনজানিতে ভূমি ধসের সৃষ্টি হয়। এই ভূমি ধসের কবলে পড়ে মৃত্যু হয় দুই পর্যটকের। আহত হয়েছেন আরও ৪৪ জন।
[ক্রাইস্টচার্চে গুলিতে ঝাঁজরা স্ত্রী, তবুও খুনিকে ক্ষমা করলেন পঙ্গু স্বামী]
গত শনিবার থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাপুয়া প্রদেশের রাজধানী জয়াপুরার নিকটবর্তী সেন্টানি এলাকায়। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে হওয়া হড়পা বানে ভেসে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। এ প্রসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরয়ো নুগরোহো জানান, এই ঘটনার ফলে ৩৬ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭০ জন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন মানুষ স্থানীয় সরকারি অফিসগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৪ হাজার মানুষকে। কিছু জায়গায় বৃষ্টি কমার ফলে জমা জল সরতে শুরু করেছে৷ জলের স্রোতের ভেসে আসা কাঠের গুঁড়ি এবং অন্যান্য সামগ্রীও এদিকে-ওদিকে পড়ে রয়েছে। প্রচুর বাড়ি, দুটি সেতু এবং স্থানীয় বিমানবন্দরে পার্ক করে রাখা একটি ছোট প্লেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[ব্রিটেন ও আফ্রিকায় ছড়িয়ে মাসুদের জেহাদি কার্যকলাপ, প্রকাশ্যে নয়া তথ্য]
পাপুয়ার সেনা মুখপাত্র মহম্মদ আইদি বলেন, এক হাজার জনের বেশি মানুষ ত্রাণকার্যে হাত লাগিয়েছেন। তাঁদের চেষ্টায় বন্যাকবলিত এলাকাগুলো থেকে এখনও পর্যন্ত ৫,৭০০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷