Advertisement
Advertisement

Breaking News

সৌদি ট্যাঙ্কার

সৌদি ট্যাঙ্কারে হামলায় তপ্ত উপসাগর, সন্দেহের তির ইরানের দিকে

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার, বাহরিন, ইরাক-সহ প্রাচ্যের একাধিক দেশ।

Four Saudi oil tankers ships 'sabotaged' in the Gulf of Oman
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 14, 2019 9:53 am
  • Updated:May 14, 2019 9:53 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে চলতি সংঘাতের আবহেই আরও জটিল হল পারস্য উপসাগরের পরিস্থিতি। সৌদি আরব জানিয়েছে, তাদের দু’টি তেল বোঝাই ট্যাঙ্কার জাহাজে হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা।

[আরও পড়ুন: চাপের মুখের নতিস্বীকার, ১১টি জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

Advertisement

সৌদির অভিযোগ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা শহরের কাছে পারস্য উপসাগরের উপর সোমবার রাতে এই হামলা চালানো হয়। বড় কোনও জলযান জোরাল ধাক্কা মারে এবং বিস্ফোরণ ঘটায় দুটি সৌদি তেল বোঝাই জাহাজে। এর জেরে তেল ট্যাঙ্কার বোঝাই জাহাজ দু’টির বড় অংশ ভেঙে তুবড়ে গিয়েছে। জাহাজ ফুটো হয়ে কিন্তু অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম জলে মেশেনি। তেল বোঝাই ট্যাঙ্কার দু’টি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই হামলায় কেউ হতাহত হননি। সৌদি আরবের দাবি, পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা বাড়াতেই এবং তাদের তেল নির্ভর অর্থনীতির ক্ষতি করতে পরিকল্পিতভাবে এই নাশকতা তথা হামলা চালানো হয়েছে। তাদের দাবি, ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারা হয়েছিল যাতে বিস্ফোরণে তেল ট্যাঙ্কারবাহী জাহাজের কনভয়টাই উড়ে যায়। সেটা হলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারত এবং শতাধিক নাবিক ও জাহাজকর্মীর মৃত্যু হতে পারত। পারস্য উপসাগর জাহাজ চলাচলের অযোগ্য হয়ে যেত। সার্বিকভাবে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতি হত।

Advertisement

তবে সৌদি আরব এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলতে চায়নি। সৌদি আরবের ইঙ্গিত ছিল শত্রু দেশ ইরানের দিকে। ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক উপসাগরীয় দেশগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে, এই গাফিলতি বা দুর্ঘটনা থেকে সব দেশকে সাবধান থাকতে হবে না হলে সংঘাত বা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার, বাহরিন, ইরাক, ইরান, কুয়েত, ওমান, আমিরশাহী, জর্ডন। কারণ এই দেশগুলির যাবতীয় তেল ব্যবসা, আমদানি, রপ্তানি চলে পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালী দিয়ে। আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি নিয়ে তীব্র সংঘাত চলছে। এই সংঘাতের মধ্যেই সৌদি তেল ট্যাঙ্কারে নাশকতার ঘটনা উত্তেজনাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে ইরানের যোগ থাকার দাবি উড়িয়ে দিয়ে সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আব্বাস মৌসভি জানিয়েছেন, “ওমান সাগরে এই ঘটনা নাশকতা হোক বা দুর্ঘটনা তা খুবই নিন্দনীয়, দুঃখজনক। ইরান তদন্তে সবরকমভাবে সহযোগিতা করবে। উপসাগরীয় এলাকায় সংঘাত বাড়াতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। আমাদের সবাইকে আঞ্চলিক নজরদারি আরওবাড়াতে হবে। কারণ হরমুজ প্রণালী ও উপসাগর দিয়ে দৈনিক দেড় কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বোঝাই জাহাজ যাতায়াত করে। সেই জাহাজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।” এদিকে, পরমাণু চুক্তি বিতর্কে দ্রুত সিদ্ধান্তে আসতে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও তাঁর পূর্বনির্ধারিত রাশিয়া সফর বাতিল করে পৌঁছন ব্রাসেলসে। সেখানে ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন তিনি। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট জানিয়েছে, আমেরিকা ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এলেও ইউরোপীয় দেশগুলি ইরানের সঙ্গে চুক্তিকে বহাল রাখবে।

[আরও পড়ুন: গোপনে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন, মোকাবিলায় ভারতের শরণাপন্ন আমেরিকা!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ