সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপাদমস্তক গরম পোশাকে মোড়া। শুধু চোখটুকুই ফাঁকা। কিন্তু তাতেও কি রেহাই আছে? ঘরের বাইরে বা কোনও ফাঁকা জায়গায় বেরলেই চোখের পাতায় এসে জমছে বরফ। এমনকী থার্মোমিটার পর্যন্ত রাখার জো নেই! ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর শীতলতম স্থান সাইবেরিয়ায় একটি অঞ্চলে এ বছর ঘটে চলেছে এরকমই সব ভয়ানক কাণ্ডকারখানা।
[ ‘উড়ন্ত’ গাড়ির ধাক্কা বহুতলে! তারপর কী হল? ]
সাইবেরিয়ার ওমিয়াকন পৃথিবীর শীতলতম বসতি হিসেবেই পরিচিত। সুবিদিত এই জায়গা। কিন্তু এ বছর যেন সব রেকর্ড ভাঙার খেলা চলছে। আক্ষরিক অর্থেই ভাঙছে। তবে তা থার্মোমিটার। সাইবেরিয়া টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থানীয় একটি ইলেকট্রনিক থার্মোমিটার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল মাইনাস ৬২ ডিগ্রি পর্যন্ত। তারপর সেটি অপারগ। ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে। অধিবাসীরাও টের পাচ্ছেন ঠান্ডার বহর। পোশাকের ফাঁক গলে হু হু শীত ঢুকে পড়ায় চোখের পাতাতেও জমে যাচ্ছে বরফ।
ঠান্ডা যে ঠিক কতটা তা জানিয়ে দিয়েছেন অধিবাসীরাই। বেশ কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যাচ্ছে, এক মহিলার চোখের পাতায় ঘন বরফ। যেন ডিজনির কোনও ছবি। যেন কমপিউটর গ্রাফিক্স করে বানানো। কিন্তু আদতে তা বাস্তব। এই বরফের রাজ্যেও তিন বন্ধু সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন নেটদুনিয়ায়।
[ বধূ কি ‘ভার্জিন’? সামাজিক অগ্নিপরীক্ষা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদে যুবকরা ]
জানা যাচ্ছে, স্থানীয় কোনও কোনও বাসিন্দা মাইনাস ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত বসতি এলাকায় পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৬৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার প্রায় কাছাকাছিই ছিল এবারের তাপমাত্রা। তবে অধিবাসীরা যে এই ঠান্ডা উপভোগই করছেন তা তাঁদের অভিব্যক্তিতে স্পষ্ট। এমনিতে তাঁরা ঠান্ডায় অভ্যস্ত। ফলে শীত নিয়ে কোনও বাড়তি কষ্ট নেই। তার উপর এবার শীতও পড়েছে বেশ জাঁকিয়েই, চারিদিকে মেলা বরফ। তাই সেই অবস্থাতেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন বাসিন্দারা। আর সে সব ছবি দেখে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের শীতকাতুরেদের প্রতিক্রিয়া কী? সে ইতিহাস বরং গোপন থাকাই ভাল।
[ ১৩ সন্তানকে খাটের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখল বাবা মা! ]