সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ন যোগাবেন চিন্তামণি। টাকা দেবেন গৌরী সেন। নিকুচি করেছে পরিবার পরিকল্পনার। সেটা আবার কি বস্তু? খায় না মাথায় দেয়? অবাক হচ্ছেন তো? হওয়ারই কথা। যে তথ্য দিতে চলেছি এবার, তাতে চোখ কপালে উঠবে, গলা শুকিয়ে যাবে, আর মাথা তো ঘুরবেই। পাকিস্তানের ঘটনা। বিরল হলেও অসম্ভব নয়। কারণ এরকম উদাহরণ টুকটাক পেয়ে যাবেনই। গল্পটা তাহলে বলি শুনুন। অবশ্য গল্প হলেও সত্যি। তিনটে পরিবার। সেখানে ছেলেমেয়ে মিলিয়ে একটা প্রজন্মেরই ৯৬টি সদস্য। মানে সোজা ভাষায় ভাইবোনের সংখ্যা মাত্র ৯৬!
৫৭ বছর বয়সি গুলজার খান। ছেলেমেয়ের সংখ্যা ৩৬। আর তাঁর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী এই মুহূর্তে সন্তানসম্ভবা। খুব পরিষ্কার গুলজারের বক্তব্য, আল্লা আছেন, তিনিই দেখবেন, তিনিই খাওয়াবেন।
উত্তর ওয়াজিরিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলার বাসিন্দা ৭০ বছরের মস্তান খান ওয়াজির। সন্তানসংখ্যা ২২জন। এখানেই শেষ নয়, তাঁর নাতি নাতনির সংখ্যা অগুণতি।
বালুচিস্তানের কোয়েট্টার জান মহম্মদ, যার ৩৮টি সন্তানের বাবা। তাঁর এখন ইচ্ছা চতুর্থবার বিয়ে করার।
অবশ্য অবাক হওয়ার খুব বেশি কিছু নেই। বহুবিবাহ পাকিস্তানে নিষিদ্ধ নয়। জন্মদানের হারে দক্ষিণ এশিয়ায় সেরার শিরোপা পেয়েছে পাকিস্তান। প্রতি মহিলা পিছু ৩ জন করে সন্তানের হিসেব ধরা হয় পাকিস্তানে। শেষ আদমসুমারি অনুযায়ী পাকিস্তানের জনসংখ্যা ১৩.৫ কোটি। এই হিসেব অবশ্য ১৯৯৮ সালের। হিসেব বলছে, এখন তা ২০ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।
তবে যে মহিলারা এত সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন, তাদের কথা কে ভাবে বলুন তো? সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে তাদের কোনও কথা বলার অধিকার নেই, অন্তত স্বামীদের চাহিদার বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনও রাস্তা তাদের সামনে নেই।
তাই হয়তো ইসলামাবাদ পরিবার উন্নয়ন খাতে ৪০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে !
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.