Advertisement
Advertisement

ডুডলে নাসার নয়া সৌরজগত সন্ধানকে কুর্নিশ জানাল গুগল

আপনিও দেখে নিন কীভাবে দূরবীনের চোখ রেখে নিজের মতো সাত গ্রহের সন্ধান পেল পৃথিবী৷

Google celebrates NASA's Exoplanets Discovery by Doodle
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 23, 2017 4:50 am
  • Updated:February 23, 2017 5:20 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাসার সাফল্যের কাহিনি উঠে এল গুগলের ডুডলে৷ তাও আবার সুন্দর একটি অ্যানিমেশনের আকারে৷ ছোট্ট এই কাহিনিতে দূরবীনে চোখ রেখেছে স্বয়ং পৃথিবী৷ সঙ্গে একটু উকিঝুঁকি মারছে চাঁদও৷ হঠাৎ হাসিমুখে সামনে চলে এসেছে পৃথিবীর মতোই একটি গ্রহ৷

মোদি ম্যাজিকেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পাল্লা ভারী, দাবি বুকিদের

ঠিক এমনটাই যেন হয়েছে নাসার ক্ষেত্রে৷ আস্ত সৌরজগতের সন্ধান পেয়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার  বিজ্ঞানীরা৷ সেই জগতের সাতটি গ্রহ এক্কেবারে পৃথিবীর মতো৷ তাও আবার বসবাসযোগ্য৷ নাসার তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়েছে এই নতুন রেকর্ডের কথা৷ নাসার সদর দফতর ওয়াশিংটনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা বলেন, ট্র্যাপিস্ট-১ নামে একটি অতি শীতল বামন নক্ষত্র ঘিরে সাতটি গ্রহ প্রদক্ষিণ করছে৷ গ্রহগুলির পৃষ্ঠে মহাসাগরের অস্তিত্বও থাকতে পারে৷ বিশেষ করে ট্র্যাপিস্ট-১ নক্ষত্রটি পৃথিবীর তুলনায় শীতল৷ এটিও বসবাসযোগ্য৷ প্রায় ৪০ আলোকবর্ষ দূরে এই সৌরজগতের হদিশ মিলেছে৷ এই প্রথমবার এমন সৌরজগতের সন্ধান মিলল, যেখানে অনেকগুলি গ্রহ একটি বড় নক্ষত্রকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে৷ এর মধ্যে তিনটি গ্রহতেই প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনায় জোর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷

সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা, নিহত তিন জওয়ান

সাম্প্রতিক সময়ের এই আবিষ্কারের কথা ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে এই গবেষণার অন্যতম বিজ্ঞানী মাইকেল গিলন বলেন, এই সাতটি গ্রহে খুব সম্ভবত জলের অস্তিত্ব রয়েছে৷ ফলে গ্রহপৃষ্ঠে প্রাণের সন্ধানও মিলতে পারে৷ মাইকেল জানান, ট্র্যাপিস্ট-১ নামে বামন নক্ষত্রটিই এই গ্রহের সূর্য৷ এটি অতি শীতল৷ সূর্যের প্রায় এক দশমাংশ আকারের নক্ষত্রটি সূর্যের তুলনায় এক সহস্রাংশ কম উজ্জ্বল৷ ফলে গ্রহগুলি ট্র্যাপিস্টের কাছাকাছিই রয়েছে৷ গ্রহগুলি বসবাসযোগ্য৷ বৃহস্পতি গ্রহ থেকে চাঁদের যা দূরত্ব, গ্রহগুলি ট্র্যাপিস্টের থেকে ঠিক ততটাই দূরে রয়েছে৷ তবে গ্রহগুলির আকার পৃথিবীর মতোই৷

বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রাইয়ড বলেন, খুব বিশদে এ গ্রহগুলির পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করা যাবে৷ ২০১৮ সালেই নাসা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ আনছে৷ সেটির মাধ্যমেই গ্রহগুলির বায়ুমন্ডলের মধ্যে কী কী রয়েছে তা জানা যাবে৷ যদি বায়ুমন্ডলের মধ্যে ওজোন, অক্সিজেন, বা মিথেনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রাণের সন্ধান থাকার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে এই মূহূর্তে যে টেলিস্কোপ রয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে গ্রহগুলি পরস্পরের বেশ কাছাকাছি অবস্থিত৷


নিউ ইয়র্কের দেওয়ালে ফুটে উঠেছে ট্রাম্প-পুতিনের ‘প্রেমকাব্য’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ