সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্ন্যুৎপাতের ফলে মৃত্যু হল ২৫ জনের। রবিবার জেগে ওঠে গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি। স্থানীয় সময় সকাল ন’টা (০৩০০ GMT) নাগাদ সেখান থেকে লাভা ও পাথর বের হতে শুরু হয়। তাতেই ২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রায় দু’হাজারের বেশি লোক ঘরছাড়া।
রবিবার সকালে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলেও পরিস্থিতি বেগতিক থাকায় ও আলো না থাকায় কোনও উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। গোটা এলাকা ভরতি হয়ে গিয়েছে ছাইয়ে। রাস্তা, গাড়ি, বাড়ি, গাছ- সবই ছাইয়ে ঢেকে গিয়েছে। কৃষিজমি ছাইয়ে ভরতি হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। সোমবার তাঁদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।
[ পরমাণু বোমা থেকে বাঁচতে তৈরি গোপন বাঙ্কার, ঠিকানা লুকোতে কারিগরকেই খুন ]
দুর্ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট জিমি মরালেস একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে ঘোষণা করা হয় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২০ জন। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। কিন্তু সময় যত এগোয়, মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। বেশ কয়েকটি এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দেশজুড়ে জারি হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরও। সেখান থেকে যেমন কোনও বিমান যাচ্ছে না, তেমনই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানের অবতরণও। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য কংগ্রেসকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবে মানুষকে ঘটনায় শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সরকারের তরফে খবর, ক্ষতিগ্রস্ত ও আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে পুলিশ, রেডক্রস ও মিলিটারি সেখানে পাঠানো হয়েছে।
[ ভারচুয়াল রিয়ালিটিই ভরসা, মার্কিন মুলুকে ভোটের প্রচারে ঝড় তুলছেন এই ভারতীয় ]
৩ হাজার ৭৬৩ মিটার উচ্চতার আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত হয়। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে ২০ জন আহত হয়েছেন। প্রায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছা়ড়া। অ্যান্টিগুয়া গুয়াতেমালা-সহ একাধিক জায়গায় পর্যটকদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেখানকার পর্যটকদেরও সরিয়ে আনা হচ্ছে। একাধিক মানুষ নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তার সঠিক সংখ্যা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ফেব্রুয়ারি মাসেই গুয়েতেমালায় অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। এবছরে সেখানে এটি দ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাত।