সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসের ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করে ঘোর বিপাকে পাকিস্তান। এবার খোদ পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিল আইএসআইয়ের ‘মানসপুত্র’। তাঁর অভিযোগ, ‘জামাত-উদ-দাওয়া’-র উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে সংগঠনটির ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররাম দস্তগির।
জামাতের মুখপাত্র ইয়াহিয়া মুজাহিদ বলে, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন খুররাম দস্তগির। আমদের সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত করায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হবে।” যথারীতি ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে জামাতের মুখপাত্র দাবি করে পাকিস্তানে সন্ত্রাস ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে ভারত।
[৭১-এর যুদ্ধের বদলা, কাশ্মীরকে মুক্ত করার হুঁশিয়ারি হাফিজ সইদের]
নতুন বছরের প্রথম দিনই পাকিস্তানকে নজিরবিহীন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই জঙ্গি হাফিজ সইদের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ একতরফাভাবে নিজেদের হাতে তুলে নিতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। এক কথায় হাফিজ ও তার অধীনে থাকা দুই সংগঠনকে (জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাই-এ-ইনসানিয়াত) ঠুঁটো জগন্নাথ করে দিতে চলেছে পাক সরকার। ফলে সাঁড়াশি চাপে রয়েছে হাফিজ সইদ।
পাকিস্তান যে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার কাজে কোনওরকম উচ্চবাচ্চ্য করছে না তা নিয়ে বিরক্ত মার্কিন প্রশাসন। পাকিস্তানকে আদৌ ২৫৫ বিলিয়ন ডলার অঙ্কের বার্ষিক অনুদান দেওয়া হবে কি না সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সোমবার ইসলামাবাদকে তুলোধনা করে টুইট করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, আর্থিক মদতের বিনিময়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর প্রতারণা ছাড়া কিছুই পায়নি। একই সঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। তারপরই কড়া প্রতক্রিয়া দেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি পালটা অভিযোগ জানান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকাকে সমস্ত সহায্য করেছে পাকিস্তান। বিনিময়ে আমেরিকা থেকে অবিশ্বাস ও ভর্ৎসনা ছাড়া কিছুই পায়নি ইসলামাবাদ। এছাড়াও মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ট্রাম্পের টুইটের প্রতিবাদ জানায় পাকিস্তান।
[নিজের নিরাপত্তার জন্য বাহিনী তৈরি করছে জঙ্গি হাফিজ সইদ]