সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য, কাশ্মীরের স্বাধীনতা নিয়ে হাজারও কথা। আমেরিকার চাপে পাক সরকার ব্যবস্থা নিতে শুরু করায় এবার সুর বদলাল হাফিজ সইদ। মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ডের এখন রাগ গিয়ে পড়েছে পাকিস্তানের উপর। তার বক্তব্যের নির্যাস, মোদির থেকেও খারাপ আব্বাসি সরকার। কান টানতে শুরু করায় বর্তমান প্রশাসনের উপর তার যত ক্ষোভ।
[পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের মুহূর্তে আকাশে UFO! ভিডিও ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য]
লাহোরে নাজরিয়া পাকিস্তান ট্রাস্টের এক সমাবেশে হাফিজ রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে জানায়, মোদি সরকার নয়, পাকিস্তান সরকার তাকে ১০ মাস আটকে রেখেছিল। কাশ্মীর নিয়ে স্লোগান তুলতেই পাক সরকার তার কণ্ঠরোধের চেষ্টা করে। পাশাপাশি হাফিজের বিস্ময় কাশ্মীরের মানুষের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরার পরও ইসলামাবাদ তাকে উপেক্ষা করে গিয়েছে। কাশ্মীরের বাসিন্দাদের নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসি ঠিক কী ভাবছেন তা জানানোর দাবি জানিয়েছেন ২৬/১১-র হামলার মূল চক্রী। এই নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পাক প্রধানমন্ত্রীর জবাব তলব করেছে হাফিজ। এমন বিষোদগারের পরও দেশের প্রতি হাফিজের রাগ এতটুকু কমছে না। জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধানের নিশানায় রয়েছে পাক সংবাদমাধ্যমও। হাফিজের অভিযোগ কার্যত ভারতীয় মিডিয়ার ভাষায় কথা বলছে পাক সংবাদমাধ্যম। কাশ্মীরের মানুষের জন্য কথা বলার পরও পাক মিডিয়া তাকে যেভাবে জঙ্গি সাজাচ্ছে তাতে মর্মাহত বলে জানায় হাফিজ।
[টাগের্ট বাংলার বৌধ্য গুম্ফা, মুর্শিদাবাদে ৮০ যুবক নিয়োগ জেএমবি’র]
সেভাবে প্রমাণ না মেলায় গত ২৪ নভেম্বর লাহোরে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পায় হাফিজ। এরপর গত কয়েক মাসে একাধিক সভা, সমাবেশে ভারতবিরোধী বক্তব্য রেখে ফের নয়াদিল্লির মাথাব্যাথা বাড়িয়েছে এই জঙ্গি নেতা। উসকানিমূলক মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে পাক প্রশাসন। ভোটে লড়া নিয়ে জামাতকে চাপে রেখেছে সরকার। বিশেষজ্ঞদের ধারণা নিজেকে কাশ্মীরি জনগণের কাছের লোক প্রমাণ করে সহানুভূতি কুড়োতে চাইছে হাফিজ। তবে এই জঙ্গি নেতাকে যে পাকিস্তান আর কোনওভাবে প্রশ্রয় দিতে পারবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন চাপে পাক সরকার হাফিজকে ঘিরে ফেলায় জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধানের এছাড়া আর কোনও পথ ছিল না বলে মনে করছেন কেউ কেউ। হাফিজের এই মন্তব্যর পর ইসলামাবাদের পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি।