সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে গৃহবন্দি মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ। তবে বন্দিদশাতেও একেবারেই চুপ করে বসে নেই এই জঙ্গিনেতা। সম্প্রতি পাক বিদেশমন্ত্রী আসিফ খোয়াজার এক মন্তব্যের প্রতিবাদে, তাঁর বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানি মামলার করেছিল হাফিজ সইদ। ইতিমধ্যেই পাক রাজনীতিতেও আত্মপ্রকাশ করেছে তার সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া। আর এবার কি এই জঙ্গিনেতার বন্দিদশাও ঘুচতে চলেছে? লাহোর হাই কোর্ট জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকার যদি হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে আদালতে কোনও প্রমাণ পেশ করতে না পারে, তাহলে তাকে গৃহবন্দি রাখার পদক্ষেপ খারিজ করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ছাড়া পেয়ে যাবেন মুম্বই হামলার মূলচক্রী।
[পাক বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হাফিজ সইদের]
মার্কিন চাপের মুখে একপ্রকার বাধ্য হয়েই হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করেছে পাকিস্তান সরকার। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে গৃহবন্দি এই জঙ্গিনেতা ও চার সঙ্গী। বস্তুত, জেহাদের নামে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগেই যে হাফিজ সইদ ও তার সঙ্গীদের গৃহবন্দি করা হয়েছে, সেকথাও স্বীকার করেছে পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু, হাফিজ সইদ ও তার সঙ্গীদের গৃহবন্দি করে রাখার প্রতিবাদে লাহোর হাই কোর্টে একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান ও তার সঙ্গীদের গৃহবন্দি করে রাখা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করার কথা ছিল পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের সচিবের। কিন্তু, মামলার শুনানিতে গরহাজির ছিলেন তিনি। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের সচিবের গরহাজিরায় বিরক্ত হন লাহোর হাই কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাজহার আলি আকরব নাকভি। তিনি বলেন, স্রেফ কয়েকটি প্রেস ক্লিপিংয়ের উপর ভিত্তি করে এভাবে দিনের পর দিনের পর কাউকে গৃহবন্দি করে রাখা যায় না। পাক সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য কোনও নথি নেই। আদালতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করা না হলে, আবেদনকারীকে গৃহবন্দি রাখার পদক্ষেপ খারিজ হয়ে যাবে।
[দিল্লির কাছেই পাক পরমাণু ঘাঁটি, চরম উদ্বেগে প্রতিরক্ষামহল]
কিন্তু, লাহোর হাই কোর্টে কেন গরহাজির ছিলেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের সচিব? মন্ত্রকের অন্য অফিসার আদালতকে জানান, অনিবার্য কারণে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের সচিবকে ইসলামাবাদে থেকে যেতে হয়েছে। তাই হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করা সংক্রান্ত নথি নিয়ে লাহোর হাই কোর্টে উপস্থিত হতে পারেননি। হলফনামা দায়ের করার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন পাক সরকারের ল’অফিসার। আগামী ১৩ অক্টোবর ফের মামলাটির শুনানি হবে।
[হত্যা মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]