সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিকে বিভিন্ন ধর্মের দেব-দেবীরা বসে রয়েছেন। যীশু থেকে শুরু করে অ্যাফ্রোদিতি, ওবি ওয়ান কেনোবি, গৌতম বুদ্ধ প্রায় সবাই। আর সেখানে হিন্দু দেবতাদের মধ্যে উপস্থিত গণেশও। প্রত্যেকেই একসঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছেন। না কোনও কাল্পনিক গল্প নয়। অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানি মিট অ্যান্ড লিভস্টক অস্ট্রেলিয়া বা এমএলএ-এর তৈরি একটি বিজ্ঞাপণে এই দেবতাদের দেখা যাচ্ছে। তাঁরা একসঙ্গে বসে ভেড়ার মাংস খাচ্ছেন। আর এই বিজ্ঞাপণটি সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
[প্রেমিকার সঙ্গে টানাপোড়েন, ভিডিও কল চলাকালীন আত্মঘাতী ছাত্র]
সম্প্রতি নিজেদের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি পোস্ট করেছে ওই কোম্পানি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক ধর্মের দেবতারা থাকলেও, মহম্মদ নেই। না থাকতে পারার জন্য ফোন করে ক্ষমাও চান তিনি। ভিডিও-র একটি অংশে আবার দেখা যাচ্ছে গণেশকে খোঁচা দিয়ে গৌতম বুদ্ধ সবাইকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘একটি হাতিকে ডাকার কী কোনও অর্থ রয়েছে?’ এরপরই গণেশের কড়া জবাব, ‘২৫০০ বছর আগেও এতে হাস্যকর কিছু ছিল না। এখনও নেই।’ এর থেকে বোঝা যাচ্ছে মজা করার জন্যই ভিডিওটি তৈরি করা। কিন্তু এতেই বেজায় চটেছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা। কেন তাঁদের দেবতাকে দিয়ে মাংস খাওয়ানো হয়েছে, সেই প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
দেখুন ভিডিও:
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ইন্ডিয়ান সোসাইটির মুখপাত্র নীতিন বশিষ্ঠ অসংবেদনশীল আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় বেশিরভাগ হিন্দুরাই ভারতীয়, আর গণেশের প্রতি হিন্দুরা কতটা শ্রদ্ধাশীল সেটা হয়ত ওরা বুঝতে পারছে না।’ গণেশকে এভাবে ওয়াইন এবং মাংস খেতে দেখে গোটা হিন্দু সমাজ ক্ষুণ্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞাপণটি তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। তবে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞাপণটি এখনই সরানো সম্ভব নয়। তবে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে সেটি উত্থাপণ করার আশ্বাস দিয়েছে তাঁরা। পাশাপাশি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ‘কাউকে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। এছাড়া ভেড়ার মাংস বেশিরভাগ ধর্মের মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্য। আর সবাই কীভাবে নিজেদের পৃথক ভাবনা-চিন্তাকে দূরে সরিয়ে খোলা মনে একত্রিত হতে পারে আমরা সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। ‘
[হেডলাইট ছাড়াই শিয়ালদহ থেকে ৪৫ কিমি পাড়ি দিল ক্যানিং লোকাল!]