সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসজিদে জঙ্গি হামলায় মিশরে মৃতের সংখ্যা ২৩৫ থেকে রাতারাতি বেড়ে দাঁড়াল ৩০৫। মৃতদের মধ্যে ২৭ জন শিশুও রয়েছে। আহত ১২৮ জন। শনিবার প্রশাসন জানিয়েছে, মিশরের ইতিহাসে এই জঘন্যতম হামলার পিছনে যে জঙ্গিরা রয়েছে, তাদের বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দেশের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি জঙ্গিদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‘সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। যার হিংস্রতা কল্পনাতেও আনতে পারবে না তারা।’’
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের আঁতুরঘরে লাগল যৌন কেলেঙ্কারির ঢেউ
দেশের প্রধান আইনজীবী নাবিল সাদেক জানিয়েছেন হামলার দিন পাঁচটি গাড়িতে চেপে জঙ্গিরা উত্তর সিনাইয়ের ছোট্ট শহর বির আল-আবাদে আসে। মসজিদের সমস্ত বড় দরজা ও জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমে প্রার্থনারত মানুষের উপর বোমা ছুড়ে, পরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। যাঁরা প্রার্থনা করতে এসেছিলেন, মসজিদের বাইরে তাঁদের গাড়িও পুড়িয়ে দেয় জঙ্গিরা। তাদের মুখ মুখোশে ঢাকা ছিল। তবে তাদের কারও গালে বড় দাড়ি বা লম্বা চুল ছিল না বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বরং তাদের গায়ে ক্যামোফ্লেজ পোশাক ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
[মিশরের মসজিদে নমাজের পরই হামলা, মৃত অন্তত ২৩৫ জন]
The death toll in Egypt surpasses 300 following Friday’s deadly terror attack https://t.co/yxTIlF6ksd pic.twitter.com/S5TX5A9WhV
— UPROXX (@UPROXX) November 25, 2017
শনিবার থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান শুরু করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। সিনাইয়ের উপরে উড়ছে সেনার যুদ্ধবিমান। বেছে বেছে জঙ্গিদের গাড়ি ধ্বংস করা হচ্ছে। আধুনিক মিশরের ইতিহাসে এর আগে এমন বিধ্বংসী হামলা আগে হয়নি। প্রায় ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলে জঙ্গিদের হত্যালীলা। বহু পরিবার অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট আল-সিসি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ অন্যান্য রাষ্ট্রনেতারা এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।