সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে তিনি সরাসরি ঢুকলেন। দুই দেশের সংঘাতে তৃতীয় শক্তি হিসাবে হস্তক্ষেপ করলেন। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ইরানে আঘাত হানার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, “এবার শান্তির সময়।” সেই সঙ্গে ইরানের উদ্দেশে তাঁর প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি, “এবার শান্তির পথে না ফিরলে হামলা আরও প্রাণঘাতী হবে।”
ইরানের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা, “এবার ইরানকে দ্রুত শান্তিস্থাপন করতে হবে, নাহলে বিপর্যয় ঘটবে। গত কয়েক দিনে যে বিপর্যয় বিশ্ব দেখেছে, সেটার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর হবে ওই বিপর্যয়।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি, “আমরা নিখুঁতভাবে হামলা চালিয়েছি। আমাদের আরও টার্গেট বাকি আছে। আজ যে হামলাগুলি হয়েছে, তেমনই কঠিন ও প্রাণঘাতী হামলা চালাব। শান্তি স্থাপন না করলে আমরা আবারও হামলা চালাব। আরও নিখুঁতভাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে।”
ইরানে হামলার পরই হোয়াইট হাউসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইরানকে সন্ত্রাসবাদের ‘এক নম্বর পৃষ্ঠপোষক’ বলে দেগে দিয়ে তিনি দাবি করলেন, “আমাদের এটাই উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হল ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধিকরণের ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেওয়া। আমি সারা বিশ্বকে জানাচ্ছি, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণুকেন্দ্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করা গিয়েছে।” এই লড়াইয়ে ইজরায়েল এবং আমেরিকা টিম হিসাবে কাজ করেছে বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। তিনি বললেন, “আমি নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা যে ভাবে দল হিসাবে কাজ করেছি, সে ভাবে হয়তো আর কেউ কখনও করেনি।”
এদিকে ইরান মার্কিন হামলার কথা স্বীকার করলেও ওই হামলাকে প্রত্যাশিত এবং কাপুরুষোচিত বলে দাবি করেছে। ইরানের দাবি, মার্কিন হামলায় বিশেষ ক্ষতি ইরানের হয়নি। পালটা তেহরানের হুঁশিয়ারি, “আমেরিকাকে আরও ভয়ংকর জবাব দেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.