Advertisement
Advertisement

Breaking News

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভ্রান্ত করছেন ইমরান, রাষ্ট্রসংঘে সরব কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মীরা

অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য অনেক টাকা খরচ করছেন ইমরান।

Imran misleading everyone: Kashmiri activists at UN
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 21, 2018 3:37 pm
  • Updated:September 21, 2018 3:37 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বকে ভুলপথে চালিত করতে চাইছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘকে এই কথা জানাল কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মীরা। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ‘তালিবান খান’ আখ্যা দিল তারা।

জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের ৩৯তম মানবাধিকার সেশনে অংশ নিয়েছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মী সাবির চৌধুরি। সেখানে তিনি বলেন, ইমরান খানের ফলে পাকিস্তানের পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়েছে। যদিও তিনি অক্সফোর্ড গিয়েছিলেন। কিন্তু অক্সফোর্ড তাঁর মধ্যে কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তাঁকে ‘তালিবান খান’ বলা হয় তার পিছনে কারণ আছে। যে মানুষ খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে তালিবান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা সরকারি বাজেট অনুমোদন করতে পারে, সে বেআইনিভাবে কত টাকা দিতে পারে? এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, যারা মানুষ মারে, তাদের পিছনে তিনি কত টাকা খরচ করছেন, তা সহজেই অমুমান করা যায়।

Advertisement

[ সীমান্তে গুলি, টেবিলে বুলি! মোদিকে চিঠি লিখে আলোচনার ডাক ইমরানের ]

Advertisement

রাষ্ট্রসংঘে শুধু সাবির চৌধুরিই নয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আরও অনেক মানবাধিকার কর্মী। তাঁরাও জানান, এলাকায় ক্রমশ বিস্তার ঘটছে সন্ত্রাসবাদের। ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির শওকত আলি বলেছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যুগ যুগ ধরে সন্ত্রাসবাদের চাষ হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্য সেখানে পরিকাঠামো তৈরি করেছে পাকিস্তান। তারা দেশের রাজনীতি পালটায়নি। শুধু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলিতে বোকা বানাচ্ছে তারা। পাকিস্তানের মদতেই জঙ্গিগোষ্ঠী দিন দিন বাড়ছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে লড়াই করার সাহস পাচ্ছে তারা। দরকার পড়লে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে।

কাশ্মীরিদের মতে, নীলম নদীর গতিপথ নিয়ে যখন সমস্যা দেখা দেয়, তখন সেই কথা রাষ্ট্রসংঘে তোলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এতে মুজফ্ফরবাদের মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হবে। পাকিস্তান তখন বিষয়টিকে ভারতের প্রোপাগান্ডা হিসেবে প্রচার করেছিল। কিন্তু পরে মুজফ্ফরবাদের মানুষ আসল ঘটনাটি বুঝতে পারে। এছাড়া রাওয়ালকোট, তারারখেল, কোটলির মতো জায়গাতেও প্রতিবাদ উঠেছে। রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মেহমুদ কুরেশির আলোচনায় বসার কথা আছে। সেখান থেকে কোনও সমাধানসূত্র বের হয় কিনা, এখন সোদিকে তাকিয়ে দুই দেশ।

‘ভারত নয়, সন্ত্রাসবাদই বড় বিপদ’, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি পাক সেনাকর্তাদের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ